স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ সেপ্টেম্বর : বৃহস্পতিবার উত্তর জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমা সফরে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এইদিন সকালে হেলিকপ্টারে করে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে যান জম্পুই পাহাড়ে। জম্পুই পাহাড়ে পৌঁছানোর পর মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে যান জম্পুই আর.ডি ব্লকের অন্তর্গত বিলিয়ান শীপ গ্রামের জম্পুই দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে। সেখানে বিদ্যালয়ের নব নির্মিত ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এছাড়াও বিদ্যালয়ে মাঠে এইদিন প্রতি ঘর সুশাসন অভিযান উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তারপাশাপাশি ভার্চুয়ালি জম্পুই পাহাড়ে প্যারা গ্লাইডিং-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এইদিন বলেন বর্তমান সরকার স্বচ্ছতার সাথে কাজ করছে। গুড গভর্নমেন্টের বিষয়ে সকলে অবগত নয়।
তাই সরকারকে মানুষের হাতের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতি ঘর সুশাসন অভিযানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রতি ঘর সুশাসন অভিযানের মাধ্যমে মানুষ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে জানতে পারবে। এবং তার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে। বর্তমান সরকার ৯৬ শতাংশ কাজ করে ফেলেছে। বাকি রয়েছে ৪ শতাংশ কাজ। এই চার শতাংশ কাজ যেন দ্রুত সম্পন্ন করা যায় তার জন্য প্রতি ঘর সুশাসন অভিযান শুরু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনের দিন এই প্রতি ঘর সুশাসন অভিযান শুরু করা হয়েছে। প্রতি ঘর সুশাসন অভিযান নভেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান সুবিধাভোগীরা বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবে হাতের কাছ থেকে। এই সুশাসন অভিযানের অঙ্গ হিসাবে বিভিন্ন ধরনের মেলা ও শিবিরের আয়োজন করা হবে।
শুধুমাত্র জেলা ও মহকুমা স্তর নয়, গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ লেভেলে এই মেলা ও শিবির করা হবে। যাতে করে সুবিধাভোগীরা হাতের কাছে সকল ধরনের সুবিধা পেতে পারে। জম্পুই দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় মাঠের অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান লালজুরি এলাকায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী গোপালপুর থেকে শিবনগর যাওয়ার রাস্তার মাঝে দেও নদীর উপর নব নির্মিত পাকা ব্রিজের উদ্বোধন করেন। সেখানে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায়, উত্তর জেলার জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। এইদিন দুইটি স্থানে এলাকার সাধারন মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়।