স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ নভেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক ঐতিহাসিক কাজ করেছে। স্বাধীনতার পর ১৮ হাজার গ্রাম এমন অবস্থায় যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। ১০ কোটি বাড়িতে চুলা ছিল না। মহিলারা লাকরীর চুলায় কাজ করে করে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। তাদের কাছে উজ্জ্বলা গ্যাসের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে ১১ কোটি মানুষ চিকিৎসা করার সুযোগ পেয়েছেন। কিছু দিন আগে ত্রিপুরার ১ লক্ষ ৪৮ হাজার মানুষকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীনের মাধ্যমে পাকা ঘর নির্মাণের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২২ সালের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত কাচা বাড়ি পাকা করার সুযোগ করে দেবে সরকার। ৭৫ হাজার আবেদন নতুন করে মঞ্জুরের অপেক্ষায় আছে। বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র ভবনে অল ত্রিপুরা ১০৩২৩ ভিক্টিমাইজড শিক্ষক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষ সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন বিজেপি-র রাজ্য প্রভারী বিনোদ সোনকর। চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের বুঝতে হবে দায়িত্বশীল সরকার তাঁর দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যায়নি। আইনের মধ্যে থেকে সরকার চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বশীল এবং সংবেদনশীল সরকারের যা যা করনীয় তারা সেই কাজ করেছে। আগামী দিনে সরকার এই বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। চাকুরিচ্যুতদের মধ্যে ৩৩ শতাংশ ছিলেন বি পি এল ভুক্ত। কিন্তু চাকুরি পাওয়ার পর সেই সুবিধা থেকে বাদ যান। তাদের অবস্থা বর্তমানে করুন। এটা অত্যন্ত দুঃখের। আগামী দিনে সরকার শিক্ষক সমাজের জন্য নিশ্চিত ভাবে কিছু করবে বলেও জানান তিনি। রাজনৈতিক দৃষ্টি কোন থেকে নয়। এটা দুঃখ, বেদনা ও সংবেদনশীল বিষয়। বিজেপি নির্বাচন কেন্দ্রীক রাজনীতি করে না। সমাজের সমস্যা নিরসনে প্রচেষ্টা চালায় বিজেপি-র কার্যকরতারা। প্রভারী হিসাবে পাশে থাকার বার্তা দেন রাজ্য প্রভারী বিনোদ সোনকর।
রাজ্যে এতদিন কোন দল ছিল না যারা রাষ্ট্রবাদী চিন্তা ধারায় কথা বলে। বিজেপি কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য রাজনীতি করে না। সাধারন মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে তাদের পাশে দারায়। যা কোভীডের সময় রাজ্যের মানুষ দেখেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগুচ্ছে। সরকার তাঁর দায়িত্ব প্রতিপালন করবে। মুখ্যমন্ত্রী চাকুরীচ্যুতদের পক্ষে আন্তরিক। সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকার ও বিজেপি দল ১০৩২৩ –কে নিয়ে কোন রাজনৈতিক খেলা খেলতে চায় না বলে জানান প্রদেশ সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা।
এদিনের বিশেষ সাংগঠনিক সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অল ত্রিপুরা ১০৩২৩ ভিক্টিমাইজড শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি প্রদীপ বনিক, সম্পাদক অরবিন্দ শর্মা সহ অন্যান্যরা।