স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ সেপ্টেম্বর : রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের মূল কাণ্ডারি হিসাবে পরিচিত বিপ্লব কুমার দেব। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বিজেপি-আইপিএফটি সরকার প্রতিষ্ঠার পর বিধায়ক দলের পরিষদ নেতা হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। তারপর তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন। পরবর্তী সময় দলের নির্দেশে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর দলের পক্ষ থেকে রাজ্য সভার একমাত্র আসনে ত্রিপুরা থেকে বিপ্লব দেবকে প্রার্থী করা হয়। প্রত্যাশিত ভাবে তিনি রাজ্য সভার উপনির্বাচনে জয়ী হন। সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় সাংবিধানিক নিয়ম মেনে ওনাকে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
সেইদিক থেকে বিচার করলে সোমবার বিধায়ক হিসাবে শেষ বারের ন্যায় বিধানসভার অধিবেশনে যান রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এইদিন বিধানসভায় নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে বিপ্লব কুমার দেব বলেন দীর্ঘদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজ্য সভার সাংসদ হিসাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। রাজ্যের স্বার্থ সম্বলিত বিষয় নিয়ে আগামীদিনে তিনি রাজ্য সভায় কথা বলবেন। তার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সকলকে রাজ্যের স্বার্থ সম্বলিত বিষয় নিয়ে মতামত দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি। একই সাথে তিনি বিরোধী দলনেতা সহ বিরোধী বিধায়কদের সহযোগিতাও কামনা করেন।
দলের নির্দেশে বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরই সকলে অনুমান করেছিল দল হয়তো বিপ্লব কুমার দেবকে বড় কোন দায়িত্ব দিতে চলেছে। আর বাস্তবে তাই হল। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য সভার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার সুবাদে সাংবিধানিক নিয়ম মেনে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে বিপ্লব কুমার দেবকে। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের সাথেও বিপ্লব কুমার দেব এদিন হাত মেলালেন। যদিও কাছে আসার জন্য নয়, অনেকটা বিদায় সংবর্ধনার জন্য। আজ বিধানসভা থাকলো এই নাটকীয়তার সাক্ষী।
উল্লেখ্য সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার আগে সোমবার শেষ বারের মতো বিধায়ক হিসাবে বিধানসভার অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেছেন বিপ্লব কুমার দেব।