স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১ ডিসেম্বর : সুশাসন জামানায় তথাকথিত আইনের শাসন থাকার পরেও তরুণী কনটেন্ট ক্রিয়েটারের উপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা লক্ষ্য করা গেল সোমবার সকালে। আমতলী থানাধীন অশ্বিনী মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় ব্রাউন সুগারের কৌটা, সিরিঞ্জ সহ আটক হয় এক তরুণী কনটেন্ট ক্রিয়েটার এবং দুই যুবককে। পরে তাদের আটক করে স্থানীয় কিছু পুরুষ মহিলা মিলে তাদের বেঁধে রাখে। তারপর তাদের মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। সবচেয়ে উদ্বেগ জনক বিষয় হলো একজন মহিলার উপর এদিন মধ্যযুগীয় বর্বরতা লক্ষ্য করা গেছে স্থানীয় নারী পুরুষের। মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হওয়া তরুণী একাধিকবার তার চুল না কাটার জন্য স্থানীয় পুরুষদের কাছে অনুরোধ করলো কেউ তার কথা শুনে নি। রাস্তার পাশে এক বাড়ির মধ্যে বসিয়ে তার চুল কেটে ফেলে।
একই সঙ্গে তার সঙ্গে থাকা দুই যুবকের মাথাও ন্যাড়া করে দেয়। দুই যুবকের নাম তন্ময় মালাকার এবং মাসুম মিয়া। ঘটনার খবর পেয়ে সঠিক সময়ের মতো আমতলী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি। পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পুলিশ তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। অথচ আইন হাতে তুলে নেওয়া নারী পুরুষদের মধ্যে কাউকে আটক করেনি আমতলী থানার পুলিশ। এদিকে যতদূর জানা যায় পুলিশ এদিন নেশার কারবারীদের এবং নর দানবদের সেফটি গার্ড হিসেবে কাজ করেছে। গোটা ঘটনাটি শান্ত মাথায় মীমাংসা করেছেন আমতলী থানার বড়বাবু এবং মেজ বাবু। যার কারণে সন্ধ্যা সময় এক চিত্র সাংবাদিক বড়বাবু এবং মেজ বাবুর কাছে ফোন করলে তারা কোনো তথ্যই দিতে চায় নি। বড়বাবু জানিয়েছেন তিনি নাকি ছুটিতে আছেন। অপরদিকে মেজ বাবু জানান, এই মামলার আয়ু কে সেটা তিনি জানেন না। তিনি আরো জানিয়েছেন যাদের আটক করেছিল পুলিশ তাদের কাছ থেকে কোন কিছুই উদ্ধার করা যায়নি বলে মামলা নেয়নি আমতলী থানার রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত পুলিশ। সেফটি গার্ড হিসেবে কাজ করা আমতলী থানার বড়বাবু এবং মেজ বাবুর বিরুদ্ধে এমন খবর এলাকায় কান পাতলে আরো শোনা যায়। গোপনে মীমাংসা হয়ে যায় বহু ঝামেলা। সাংবাদিকরা তথ্য জানার জন্য ফোন করলে ফোন তোলেন না। তাদের মত পুলিশ অফিসার বিভিন্ন থানায় থাকলে সুশাসনের কতটা বাস্তবায়ন হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

