স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১ ডিসেম্বর : সুশাসন জামানায় নেতার ঘরে ঢুকলো আবার চাকরি। কোন এক সময় মেলার মাঠের নির্দেশে বাড়ি বাড়ি যেত রাজ্যে চাকরির অফার। এটা নিয়ে বর্তমান সরকার বিভিন্ন মঞ্চে দাঁড়িয়ে পূর্বর্তন সরকারকে কাঠগড়ায় তোলে। অথচ ঘরের ইঁদুরে বেড়া কাটছে। ধলাই জেলার কমলপুর মহকুমার অধীন ৪৬ সুরমা কেন্দ্রের অন্তর্গত দক্ষিণ ভাতখাউরী এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে ওয়ার্কার পদে ইন্টারভিউ নেওয়ার পর চাকুরি জুটে সুরমা কেন্দ্রের এসসি মোর্চার মন্ডল সভাপতি প্রল্লাদ দাসের মেয়ে পূজা দাসের। এদিকে দিন মজুরের স্ত্রী প্রিয়া দাস দুইবার ইন্টারভিউ দেওয়ার পরও ভাগ্যে চাকরি জুটেনি।
যদিও স্থানীয় নেতা সহ সকলেই আশ্বাস দিয়েছিল এই দক্ষিণ ভাতখাউরী অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে ওয়ার্কারের চাকরি হবেই। অবশেষে চাকরি না পেয়ে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দেয় প্রিয়া দাস। জানা যায়, পূজা দাসের শ্বশুর বাড়ি ডাববাড়ি এলাকায় এবং প্রিয়া দাসের শ্বশুর বাড়ি ভাতখাউড়ি এলাকায়। এদিকে এসসি মোর্চার মন্ডল সভাপতি প্রল্লাদ দাসের মেয়ে পূজা দাসের বক্তব্য হল আজ কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার প্রথম দিন ,কিন্তু এসে দেখতে পায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলানো। তিনি বলেন এই চাকরি ওনার খুব প্রয়োজন শ্বাশুড়ী অসুস্থ।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলানোর সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এসসি মোর্চার মন্ডল সভাপতি প্রল্লাদ দাসের বাঁধার মুখে পড়তে হয়। উনার প্রশ্ন কে খবর দিয়েছে খবর সংগ্রহ করতে এখানে আসার জন্য? কোন চ্যানেলের সাংবাদিক আই কার্ড দেখাতে দাবি করেন। এক তরফা নিউজ করলে চলবে না ইত্যাদি। এমনকি সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নেতার ক্ষোভের মুখে পরতে হয়। এটা নতুন ঘটনা নয়, কিন্তু রাম আমলে চুনিপুটি নেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। এমনও কেউ কেউ রয়েছেন যারা ২০১৮ সালের আগে বিভিন্ন কার্যকলাপে জড়িত ছিল, তারা আজ রাষ্ট্রবাদী নেতা। এই রাষ্ট্রবাদী নেতাদের কাছে রয়েছে আলিশান বাড়ি ঘর থেকে শুরু করে বিলাসবহুল গাড়ি। তাদের মত নেতাদের কাছে আজ হিসেব দিতে হয় সাংবাদিকদের।

