স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ সেপ্টেম্বর। বিধায়ক পদ ছেড়ে বুর্ব মোহন ত্রিপুরা এবং বিজেপি’র প্রদেশ কমিটি অন্যতম সহ-সভাপতি তথা রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ গৌরীশংকর রিয়াং শুক্রবার প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মনের হাত ধরে তিপ্রা মথায় যোগদান করেন। যোগদানকারীদের দলে স্বাগত জানান তিপ্রা মথার চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ সহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিন রাজধানীর মানিক্য কোর্টে যোগদানের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ জানান, দলের মূল উদ্দেশ্য হলো থানসা। অর্থ এবং পদাধিকার চাইনা তিপ্রা মথার কোন নেতৃত্ব। মূল উদ্দেশ্য গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি পূরণ করা। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে দল এগিয়ে চলেছে বলে জানান প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন। তিনি আরো বলেন ভিলেজ কমিটি নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও সরকারের কোন উদ্যোগ নেই। প্রথমে কোভিড নিয়ে অজুহাত দেখিয়ে ভিলেজ কমিটির নির্বাচন করেন নি। বর্তমানে সরকার অন্য কোন অজুহাত খুঁজছে। তাই সরকারের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে আসন্ন ভিলেজ কমিটি নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনে দল সবকটি আসনে লড়াই করবে। এর জন্য দলের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি চূড়ান্ত। এবং কোন রাজনৈতিক দল যদি জোট হতে চাই তাহলে তিপ্রা মথার প্রধান দাবি গ্রেটার তিপরাল্যান্ড সমর্থন করতে হবে। না হলে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জোটের কোন সদিচ্ছা নেই বলে জানান তিনি।
আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন যোগদান কারী দুই নেতৃত্ব জানান, তারা আগামী দিনে তিপ্রা মথার হয়ে কাজ করবে। ভারতীয় জনতা পার্টিতে তারা মানুষের জন্য কাজ করতে পারে নি। তাই তাদের হতাশ হয়ে দল ছাড়তে হয়েছে। এমনটাই বললেন গৌরী শংকর রিয়াং এবং বোর্বমোহন ত্রিপুরা।
কিন্তু আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এ ডি সি এলাকায় উন্নয়ন নিয়ে কোন শব্দের উল্লেখ করেনি দলের চেয়ারম্যান প্রদ্যোত কিশোর দেব বর্মন। থানসা এবং গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের কথা বলে সাংবাদিক সম্মেলন সমাপ্ত করলেন। কিন্তু রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের পক্ষ থেকে বারংবার অভিযোগ তোলা হচ্ছে রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ে জনজাতি অংশের মানুষ অভাব অনটনের শিকার। কারণ তাদের কাজ খাদ্য নেই। একদিকে যেমন রাজ্য সরকারের তাদের নিয়ে মাথাব্যথা নেই, তেমনি এডিসিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া তিপ্রা মথা দলের কোন উদ্যোগ নেই। এমনকি জনজাতি অংশের মানুষের কাজ খাদ্যের জন্য এবং পাহাড়ি এলাকার উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানাতেও দেখা যাচ্ছে না তিপ্রা মথা দলের। তাতে জনজাতি অংশের মানুষ হতাশ হয়ে বিকল্প খুঁজছে বলে অভিমত ব্যক্ত করছেন বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দ।