স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ সেপ্টেম্বর : ২০ থেকে ৩০ বছর আগে পৃথিবী কিংবা ত্রিপুরা রাজ্য যে জায়গায় ছিল, বর্তমানে সেই জায়গায় নেই। পৃথিবী কিংবা রাজ্য অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। জল মানে জীবন। একটা সময় আসবে জলের অপচয় বন্ধ করতে হবে। সময় আসবে জল সংরক্ষণের দিকে যেতে হবে। বহিঃরাজ্যে জল সংরক্ষণের বহু পদ্ধতি রয়েছে। জলকে যেমন অপচয় করা যাবে না, তেমনি স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। কিন্তু মানুষের মধ্যে স্বচ্ছতা নিয়ে এখনো সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই সচেতনতার বিষয়ে মানুষকে শিক্ষিত করতে হবে।
সকলের সহযোগিতা ছাড়া এইটা করা কখনো সম্ভব নয়। এই কাজটা করার জন্য রামকৃষ্ণ মিশনের দুইজন প্রশিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতার বিষয়ে তাদের জ্ঞান রয়েছে। মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করবে। স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্রামীণ দ্বিতীয় ভাগ-২০২২-২৩ অর্থ বছরের অধিন রাজ্য ভিত্তিক স্বচ্ছতা পকোয়াডা অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে এমনটা বলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত রাজ্য ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরও বলেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ইউজার কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যেও আর কিছুদিনের মধ্যে ইউজার কমিটি কাজ শুরু করবে। তার পাশাপাশি স্বচ্ছতার উপর যে বিশেষ অভিযান করা হচ্ছে, তা বাস্তবায়িত হবে না, যদি নিচু স্তরের জন প্রতিনিধিরা সাহায্যের হাত বারিয়ে না দেয়। ২০১৯ সালে ত্রিপুরা রাজ্যকে ওডিএফ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন ওডিএফ প্লাস চলছে। তার জন্য শহর এলাকায় এই বিষয়টি যে ভাবে মানা হয়, গ্রামীণ এলাকায় সেই বিষয়টি এখনো সেই ভাবে মানা হচ্ছে না। তাই গ্রামের প্রতি নজর দেওয়ার জন্য তিনটি ভাগে ওডিএফ প্লাস কার্যকর করা হবে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
বর্তমানে ডি.ডাব্লিও.এস দপ্তর শুধুমাত্র পানীয় জল প্রদানের জন্য নয়। বাড়ি বাড়ি পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় গড় থেকে রাজ্য এগিয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ দিয়ে যাচ্ছে। জলের সাথে সাথে স্বচ্ছতার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এইদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডি.ডাব্লিও.এস দপ্তরের আধিকারিকরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা এইদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।