স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ সেপ্টেম্বর : দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে প্রদেশ বিজেপি সেবা পাক্ষিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই সেবা পাক্ষিক কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে প্রদেশ বিজেপির বুদ্ধিজীবী সেলের উদ্যোগে রবিবার বুদ্ধিজীবী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই বুদ্ধিজীবী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। সম্মেলনে আলোচনা করতে গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন সমগ্র বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে আলোচনা করছে। কিভাবে একজন প্রধানমন্ত্রী এতগুলি কাজ করতে পারে তা নিয়ে চর্চা চলছে।
আগে ভারতবাসীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিল না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়ে সবকিছু পাল্টে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি প্রথমেই বলেন সকল গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। দুই বছরে তা করা হয়েছে। দুই বছর পর তিনি সকল রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রীদের ডেকে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরনায় সেই কাজটিও দ্রুত গতিতে চলছে। আত্মনির্ভরতার শুরু হয় আত্ম সম্মান ও আত্ম বিশ্বাস দিয়ে। তাই মহিলাদের আত্ম সম্মানের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শৌচালয়ের কথা বলেছেন। সেই মোতাবেক ২০১৯ সালে দেশে ১০৮ মিলিয়ন শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে গ্রামীণ এলাকার মানুষ জিরো ব্যালেন্সে জনধন একাউন্ট খুলেছে। ৪৪২ মিলিয়ন জনধন একাউন্ট খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সর্বদা বলেন রাজনীতি রাজনিতির জায়গায় থাকবে। নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবে। কিন্তু সকলকে রাষ্ট্র নিতির সাথে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরনায় প্রথম বারের মতো ত্রিপুরা রাজ্যে যোগ্য সুবিধাভোগীদের ঘর প্রদান করা হয়েছে। ঘর প্রদানের ক্ষেত্রে কোন ধরনের রং দেখা হয়নি বলেও জানান উপমুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন বিজেপি রাজনীতি করে হুদয় দিয়ে। কোন দল সেবা সপ্তাহ পালন করে না। প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরনায় বিজেপি সেবা সপ্তাহ পালন করে। সর্বদা মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখে। জাতপাতের রাজনীতি শেষ করে দিয়েছেন দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। উত্তর প্রদেসের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সেইটা তিনি প্রমান করে দিয়েছেন। বর্তমানে মানুষ ভোট দেয় দেশের নাগরিক হিসাবে রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য। প্রধানমন্ত্রী ভারতের উন্নতির কারিগর বলে অভিমত ব্যক্ত করেন উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বিজেপি ভোট ব্যাঙ্কের চিন্তা করে না। ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপির কোন ভোট ব্যাঙ্ক নেই। বিজেপি চায় সকলে যেন বিজেপিকে ভোট দেয়। সকলে ভারতের নাগরিক। বিজেপি কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরোধী নয়। যারা রাষ্ট্র নিতির সাথে আছে, তাদের সাথে রয়েছে বিজেপি। এইদিনের বুদ্ধিজীবী সম্মেলনে উপমুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি ডাক্তার অশোক সিনহা, প্রদেশ বিজেপির সাধারন সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দিপক মজুমদার সহ অন্যান্যরা।