স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ সেপ্টেম্বর : আসন্ন দুর্গা পুজাকে সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মচারীদের জন্য পূজার বোনাস ও পূজার এডভান্স ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। পূজোর ছুটিও বাড়িয়ে নয়দিন করা হয়েছে। যাতে সরকারি কর্মচারীরা পুজোর দিনগুলি আনন্দের সাথে কাটাতে পারে। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারি কর্মচারীদের জন্য জন্য পূজার বোনাস ও পুজার এডভান্স ঘোষণা করেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ।
তিনি বলেন এই বছর দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে ছুটি বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীদের পূজার বোনাস বৃদ্ধি করে ১৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। হোমগার্ড ও এসপিও জওয়ানরা এই বছর পূজার বোনাস পাবে ১৭০০ টাকা করে। অঙ্গনওয়ারী কর্মী ও সহায়িকারা পাবে ১৭০০ টাকা করে। পেনসনার ও পারিবারিক পেনশনাররা পাবে ১৫০০ টাকা করে। গ্রুপ-সি কর্মীরা পাবে ১৫০০ টাকা করে। গ্রুপ-ডি কর্মীরা পাবে ১৫০০ টাকা করে। ডি.আর.ডাব্লিও কর্মীরা পাবে ১৫০০ টাকা করে। এবং পিটিডাব্লিও, এম.আর.ডাব্লিও, চুক্তি ভিত্তিক কর্মী, কেজুয়েল ওয়ার্কাররা পাবে ১৭০০ টাকা করে। এই বছর আশা কর্মীরাও পূজার বোনাস পাবে বলে জানান উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান এই বছর গ্রুপ-এ, গ্রুপ-বি, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি কর্মীরা পুজার এডভান্স পাবে ২০ হাজার টাকা করে। অঙ্গনওয়ারী কর্মী, সহায়িকা ও হোমগার্ডরা পুজার এডভান্স পাবে ৫ হাজার টাকা করে। আশা কর্মীরা এনএইচএম-এর মাধ্যমে পুজার এডভান্স পাবে ২ হাজার টাকা করে। বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মচারীদের জন্য পুজো গ্র্যান্ট এবং এডভান্স ঘোষণা করলো রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তর। রাজ্য সচিবালয় এই সুসংবাদ এর কথা জানান উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা।
তিনি বলেন ত্রিপুরা উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে সেরা পারফর্মিং স্টেট নোডাল এজেন্সি, পিএম কুসুম স্কিমের অধীন সর্বাধিক সংখ্যক সোলার পাম্প স্থাপন এবং দ্বিতীয় সর্বাধিক সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। রাজ্য সরকারের পিএম কুসুম স্কিমে ভর্তুকিতে সোলার পাম্প স্থাপনে মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জমিতে জল সেচের ব্যবস্থা করে তাদের দ্বিগুণ ফসল ও দ্বিগুণ আয়ের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় যেখানে গিফট পাওয়ার নেই সেখানে ৪ হাজার সোলার পাম্প স্থাপনের জন্য টি আর ই ডি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পে সরকারের ব্যয় হবে ১১২ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত ১১৫১ সংকট পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এবং বাকি কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলছে। অ্যাসপিরেশন ও এডিসি ব্লকগুলিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কৃষকরা সৌরভ পাম্প দিয়ে উপকৃত হচ্ছেন কারণ তারা দ্বিগুণ আয় করে একক ফসলের পরিবর্তে দ্বিগুণ ফসল উৎপাদন শুরু করেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। গ্রামীন এলাকা গুলিতে বাজারে আশা যাওয়ার ক্ষেত্রে রাস্তার দুধার সোলার লাইট বসিয়ে আলোকিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ৩ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের স্টাডি ল্যাম্প প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যে টেডা ভাল করছে। তবে তাদের সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে হবে। গ্রামীন বাজার আলোক জ্যোতি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ হাজার সোলার লাইট প্রদান করা হয়েছে। প্রথম বসানো হয়েছে পিছিয়ে পড়া ব্লক গুলিতে। রইস্যাবাড়ি, গঙ্গানগরে এগুলি বসানো হয়েছে। এতে করে এই সমস্ত এলাকায় ব্যবসার সময় বেড়েছে। অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পরিষেবা পৌঁছে দিতে চায় সরকার। আর তাই প্রান্তিক কৃষকদের কথা মাথায় রেখেই দিক পরিবর্তনের কাজ হয়েছে বলে জানান উপ মুখ্যমন্ত্রী। ১২ হাজার সোলার লাইট ব্লকে ব্লকে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও ভবিষ্যৎ -র কথা চিন্তা করেই সোলার শক্তির দিকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। পাম্প চালানোর জন্য সোলার শক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন ৫০০ টাকায় বায়ো গ্যাস প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। কিল্লা ব্লকে বায়ো ভিলেজ এবং সোলার প্ল্যান্ট ভিলেজ গড়ার পাইলট প্রকল্প চলছে। গতানুগতিক পথে না গিয়ে নতুনত্ব এনে তা সফল ভাবে কার্যকর করে দেখাচ্ছে সরকার। এদিন তিনটি পুরষ্কার তুলে ধরেন উপ মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব ব্রীজেশ পান্ডে, টেডার ডি জি- সহ অন্যান্যরা।