স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ সেপ্টেম্বর : চোর সন্দেহে গনপিটুনিতে মর্মান্তিক মৃত্যু এক মানসিক অবসাদগ্রস্ত অজ্ঞাত ব্যক্তির। ঘটনা জিরানীয়া থানার অন্তর্গত রামদুর্গা পাড়া এলাকায়। জানা যায় বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার বাসিন্দা বিশু দেববর্মার বাড়িতে রাতে গিয়ে দরজায় শব্দ করে মানসিক ভারসাম্যহীন সেই ব্যক্তি। এরপরই বাড়ির মালিক সহ পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশী মিলে তাকে আটক করে গনপিটুনি দেয়। এই গনপিটুনিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে জিরানীয়া থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় দমকল কর্মীদের। দমকল কর্মীরা এসে আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরেই একটি মামলা হাতে নেয় জিরানীয়া থানার পুলিশ রাতেই বাড়ির মালিক বিশু দেববর্মা, তার ছেলে নন্দী দেববর্মা ও প্রতিবেশী দুলাল দেববর্মাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে শুক্রবার বিশু দেববর্মার বাড়ির লোকজন সহ প্রতিবেশীরা জিরানীয়া থানায় এসে ভীড় জমায়। আটক করা ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানায়। জিরানীয়া থানার ওসি জানায় গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রাথমিক ভাবে তিন জনকে আটক করে নিয়ে আসি হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। তবে জানা গেছে এই ঘটনার সাথে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে। তাদের আটক করতেই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এদিকে এয়ারপোর্ট এলাকায় চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল চোর। স্থানীয়রা চোরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ চোরকে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিযুক্তের নাম সিরাজুল হক(২৩)। আহত চোর গুরুতর আহত অবস্থায় জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে রাজধানীর চন্দ্রপুর এলাকায় চোর সন্দেহে যুবককে মারধর করে রক্তাক্ত করে স্থানীয়রা। পরে সেই যুবককে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। আহত চোর বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অপরদিকে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সৎসঙ্গ আশ্রম সংলগ্ন এলাকায় এক দোকান থেকে আটক চোর। দোকানের মালিক জানায় সম্প্রতি দোকান থেকে ক্রেতা সেজে এসে বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যায় এই ব্যক্তি। পরবর্তী সময়ে তিনি সিসি ক্যামেরায় দেখতে পান মাথায় হেলমেট পরিধান করে তিনি চুরি করেছেন। আটক চোরের নাম বিপ্লব চক্রবর্তী, দোকানের কর্ণধারের নামও বিপ্লব চক্রবর্তী। সৌন্দর্যজনকভাবে আটক হওয়া বিপ্লব চক্রবর্তীকে গণধোলাই দিয়ে এদিন স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।তবে উদ্বেগ জনক ভাবে শহরে বাড়ছে চুরির ঘটনা। এবং জনরোষে পড়ে আহত এবং মৃত্যুর ঘটনার সামনে উঠে আসছে। নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে শহরবাসী ব্যাপক আতঙ্কে দিন যাপন করছে বলা চলে। তবে এ ধরনের জনরোষে যদি সাধারণ মানুষেরও শিকার হতে হয় তাহলে এর দায়িত্ব কে নেবে তা নিয়ে প্রশাসনের দিকে আবারো আঙ্গুল উঠতে শুরু করেছে।