স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ সেপ্টেম্বর : বাইক বাহিনীর আতঙ্কে সারা রাজ্যের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরা রাজ্যে কয়েক শতাধিক বাইক আমদানি করার পেছনে মূলত কি রহস্য রয়েছে, তা নিয়ে চোখে শস্য ফুল দেখছে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বৃহস্পতিবার প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পুলিশের সদর কার্যালয় ঘেরাও করে সুষ্ঠ তদন্তের জন্য দাবি জানায় তারা।
এদিন প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সান্তনু সাহা জানান, উত্তরপ্রদেশের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত বহু বাইক ত্রিপুরা রাজ্যে আনা হয়েছে। এর পেছনে মূলত কি কারণ রয়েছে তা জানতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুস্মিতা দেব রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল কেন বাইক গুলি ত্রিপুরায় আনা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করার জন্য। এবং যে বাইকগুলো আনা হয়েছে সবগুলো বাইক সিল করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও একটি বাইকও সিল করার উদ্যোগ নেওয়া হয় নি। তাই রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয়ের সামনে যুব তৃণমূল কংগ্রেস ধর্নায় বসেছে বলে জানান তিনি। এদিকে সাংসদ সুস্মিতা দেব জানান, রাজ্যের মানুষে উপনির্বাচন এবং পুর নির্বাচনে বিজেপির রেগিং দেখে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এবং সারাদেশে বর্তমানে বিজেপির বাইক বাহিনীর সন্ত্রাসের খবর মানুষের কাছে রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে কেন উত্তরপ্রদেশের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত বাইক ত্রিপুরা রাজ্যে আনা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল পুলিশের মহা নির্দেশকের কাছে। তিনি এই বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে বাইক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে বিজেপি আরো বাইক আনার ব্যবস্থা করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের নিরাপত্তা দিতে এবং বাইক গুলি সিল করতে পুলিশ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সেই জবাব চাইতে এদিন বিক্ষোভে সামিল হয়েছে বলে জানান সুস্মিত দেব। পরবর্তী সময়ে একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে দেখা করেন আই জি জি কে রাও -এর সাথে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন আগামী তিন দিনের মধ্যে সুস্থ তদন্ত করা হবে বলে জানান ডেপুটেশনের পর পূজন বিশ্বাস।