স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ সেপ্টেম্বর : মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গোধন প্রকল্পে ত্রিপুরায় ৭৫ শতাংশ জনগণ পশু পালনের সাথে যুক্ত। ৯০ শতাংশ এলাকার গবাদি পশুপালন রোজগার একটা বিশেষ মাধ্যম এবং গবাদি পশুর প্রতিপালন ইতিমধ্যে কর্মসংস্থানের বিশেষ মাধ্যম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সোমবার মহাকরনে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের প্রকল্প সম্পর্কে অবগত করেন দপ্তরের সচিব টি কে দেবনাথ।
তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত চলবে গোধন প্রকল্প। প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর রাজ্যের আটটি জেলায় মুখ্যমন্ত্রী উন্নত প্রকল্প রূপায়ণের কাজ করছে। ২০২২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত রাজ্যে এই প্রকল্পে ৭৬ হাজার ৪২৬ টি গাভীকে কৃত্রিম প্রজননের জন্য ১২,৯৯২৩ টি ডোজ লিঙ্গ নির্ধারিত নিয়মিত বীর্য ব্যবহৃত হয়েছে। এই প্রকল্পের পর্যবেক্ষণ এবং সঠিক ডাটা কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে আপলোড করার জন্য ৩৫ জন সুপারভাইজার ও ৪২ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর অস্থায়ী হবে রাষ্ট্রীয় বকুল মিশন প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ করা হয়েছে। এই প্রকল্পে জন্মানো স্ত্রী বাছুরের জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে সুষম খাদ্য দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ৬০০০ পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে মোট পাঁচ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। প্রতি সুবিধাবাদীর জন্য ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এতে দামড়ির মূল্য ৬ মাসের গো খাদ্য, ইন্সুরেন্স, গোয়াল ঘর নির্মাণ ও সবুজ ও খাদ্য চাষের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। মোট ২ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা এতে ব্যয় হবে।