স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৪ নভেম্বর : মঙ্গলবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপজাতি মহিলা তাঁতি উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় সুতা বিতরণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার পর বক্তব্য রেখে বলেন, জনজাতিদের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। তাদের জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে সরকার। যাতে জনজাতিদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনজাতিদের গান বাজনার ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। তাই বর্তমান সরকার তাদের লোকসংস্কৃতি, হস্ত শিল্প ধরে রাখতে প্রায় তিন কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে ব্যয় করেছে। জনজাতি ছেলেমেয়েদের সেরা কোচিং পরিষেবা দিতে হানডেট স্কিম চালু করেছে। একই সাথে তাদের খেলাধুলার ক্ষেত্রেও সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। বিভিন্নভাবে তাদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। যার কারণে বর্তমানে বিভিন্ন মাঠে গেলে দেখা যায় জনজাতি অংশের ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করছে। জনজাতিদের জন্য এত উন্নয়ন করার পেছনে সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো তাদের উন্নয়ন হলেই ত্রিপুরার সুনাম অর্জন হবে। জনজাতি এলাকায় ইতিমধ্যে সরকার দুটি সিন্থেটিক ফুটবল মাঠ স্থাপন করেছে। পাশাপাশি জনজাতিদের মধ্যে যেসব সামাজিক ভাতা রয়েছে সেগুলোর সম্মানিক ভাতা বৃদ্ধি করে সমাজ পরিবর্তনের দিকে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। নাম উল্লেখ না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনজাতির যুবক-যুবতীদের যাতে সঠিকভাবে উন্নয়ন না হয় তার জন্য কোন না কোন একটা জায়গা থেকে চক্রান্ত হচ্ছে। এর থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে বলে সচেতন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর জনজাতি ছেলে-মেয়েদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, তাদের জন্য কারা কাজ করছে এবং কারা শুধুমাত্র কথা বলে যাচ্ছেন সেটা নিয়ে তুলনা করতে হবে। অর্থাৎ বর্তমান সরকার তাদের জন্য কাজ করে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, শুধুমাত্র বাজেটের অর্থ থেকে জনজাতিদের উন্নয়ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে না, বাজেটের বাইরেও অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য। বর্তমান সরকার চায় ত্রিপুরা যাতে আগামী দিন একটা মিশ্র বসতি রাজ্য হয়। যা গোটা দেশের মধ্যে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আয়োজিত অনুষ্ঠানের শেষে মুখ্যমন্ত্রী জনজাতি মহিলাদের হাতে সুতা তুলে দেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক।

