স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৪ নভেম্বর : গোপন খবরের ভিত্তিতে গত ১৬ অক্টোবর মালবাহী ট্রেনের দুটি বগি থেকে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ কফ সিরাপ আটক করেছিল পুলিশ, রেল পুলিশ, কাস্টমস ও আসাম রাইফেলসের জওয়ানরা। দিল্লি থেকে আগত এই মালবাহী ট্রেনটিতে কয়েক কোটি টাকার কফ সিরাপ পেয়েছিল নিরাপত্তা কর্মীরা। ৩০০৩০০১০৮৯২ এবং ৩১০৩২৪৫৭০৪৩ নম্বরের বগি দিয়ে দিল্লি থেকে মোট ১ লক্ষ ৭ হাজার ৮০০ কফ সিরাপ পাচার করা হয়।
বদরপুর থেকে নিরাপত্তা কর্মীরা পিছু করে জিরানিয়া স্টেশনে এসে ট্রেন থেকে উদ্ধার করে নিষিদ্ধ কফ সিরাপ গুলি। এই ফেন্সি কান্ডে জড়িত ধৃত হিমাংশু ঝা ওরফে সোনুকে দিল্লি থেকে আগরতলায় নিয়ে আসা হয়েছিল সোমবার দুপুরের বিমানে। অপরদিকে রবিবার রাতেই মূল অভিযুক্ত অরুন ঘোষকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে অন্য একটি ট্যাবল এজেন্সির মালিক হিমাংশু ঝাঁ এই কফ সিরাপ গুলি ট্রেনে তুলে দিয়েছিলেন। পুলিশ তদন্তে নেমে এতটুকু জানতে পেরেছিল। তারপর ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর পক্ষ থেকে জাম্বো টিম লোকেশান ট্যাগের দিকে নজর দেয়। ১৭ অক্টোবর থেকে অরুন রাজ্যের বাইরে রয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত অরুনের বাড়ি, মহারাজগঞ্জ বাজারে অফিস এবং ইছা বাজার গুদামে অভিযান চালায়। আগরতলা থেকে দিল্লি, শিমলা এবং পরে কলকাতায় এসে গা ঢাকা দিয়ে থাকে অরুন। তারপর কলকাতা থেকে তাকে জালে তুলে পুলিশ। পুলিশের কাছে নামের তালিকায় রয়েছে আরও কুখ্যাত কয়েকজন ড্রাগস মাফিয়া। তারা হল লিটন, মান্না সহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা।
ইতিমধ্যে তারা নিজেদের বাঁচাতে বেশ কিছু রাঘব বোয়ালের সাথে বোঝাপড়া শুরু করেছে। যতদূর জানা গেছে তারা গা ঢাকা দিয়ে থাকার চেষ্টা করছে। পুলিশ আধিকারিক জানান, রেল দিয়ে নেশা পাচারের মূল অভিযুক্ত অরুণ ঘোষকে কলকাতা নাইদারভ্যালি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো হিমাংসগু ঝাঁ, রাজীব দাশগুপ্ত, অরুণ কুমার ঘোষ। যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলো হিমাংসগু ঝাঁ, রাজীব দাশগুপ্ত, অরুণ কুমার ঘোষ। ধৃতরা আগরতলা এবং দিল্লির বাসিন্দা। তাদের আগরতলা, কলকাতা এবং দিল্লী থেকে আটক করা হয়েছে। তবে শুধু এই তিনজন দ্বারা রাজ্যে নিষিদ্ধ কফ সিরাপ পাচার হয়েছে সেটা ভাবলে ভুল হবে। কারণ রেলের কর্মকর্তাদের নজর এড়িয়ে এত পরিমানে সামগ্রী রাজ্যে পাচার করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। এর সঙ্গে রেল মন্ত্রকের কোন আধিকারিক জড়িত রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

