স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৪ নভেম্বর : সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েত অন্তর্গত মধুবন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের শিক্ষিকা ও শিক্ষিকার স্বামীর বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ উত্থাপন করলেন সহায়িকা। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছিলেন। কিন্তু ওনার চাকরি এখনো বহাল রয়েছে। পাশাপাশি দুর্ব্যবহারের শিকার হন বলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করলেন তিনি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েত অন্তর্গত মধুবন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের সহায়িকা সুনিতা আচার্যের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন তিনি নিজে।
তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা ভুল, তিনি অসুস্থতার কারণে বিগত কয়েক মাস যাবত কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারছেন না। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তিনি উক্ত বিষয়ে জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদনও করেছেন। পাশাপাশি বিগত কয়েক মাস যাবত তিনি দপ্তরের কাছ থেকে বেতনও নিচ্ছেন না। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন তাকে কালিমা লিপ্ত করার জন্যই তার বিরুদ্ধে এই ধরনের চক্রান্ত সাজানো হয়েছে। তিনি একপ্রকার ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে অভিযোগ করেন বিভিন্ন সময়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকার স্বামী সেন্টার থেকে চাল বাড়িতে নিয়ে যান বলে। আর সেই সকল বিষয়গুলি নিয়ে প্রতিবাদ করতেই তার উপর চওড়া হন খোদ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং তার স্বামী ও বিভিন্ন সময়ে বিষয়গুলি নিয়ে প্রতিবাদ জানালে তিনি দুর ব্যবহারের শিকার হন।
আর এই বিষয়টি জানিয়ে একটি মামলাও করেছিলেন। তাছাড়া তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে যে নেতৃত্বের সঙ্গে উঠাবসা অভিযোগ আনা হয়েছে সেটাও পরিকল্পিত পূর্বের কোন এক ছবি দেখিয়ে তাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, গোটা বিষয়টি পরিকল্পিত এবং তাকে কালিমালিপ্ত করার প্রয়াস বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি প্রশাসনিক সুষ্ঠু তদন্তক্রমে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি জানান। এখন দেখার বিষয় গোটা ঘটনাটি তদন্তে বের হয়ে আসে কিনা। রাজ্যে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য একমাত্র পুষ্টি প্রকল্প এটা। যেখানে শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের জন্য পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো এর মধ্যেও চুরি, ফাঁকি ঝুঁকি সমস্ত কিছু যেন সাধারণ মানুষকে নাজেহাল করে ফেলছে। প্রকৃতভাবে উপকৃত হচ্ছে না গর্ভবতী মা ও শিশুরা। মামলা হলেও সুশাসন জামানায় তদন্তের ফাইল চাপা পড়ে আছে।

