স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ সেপ্টেম্বর : চোর সন্দেহে এলাকাবাসীর হাতে আটক পাঁচ সন্ন্যাসী।ঘটনা রাজধানীর আড়ালিয়া গুরুদাস পাড়া এলাকায়।পরবর্তী সময় তাদের কলেজ টিলা ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসী। জানা যায়, সোমবার পাঁচ সন্ন্যাসী এলাকায় ভিক্ষা করতে যায়। কিন্তু এলাকাবাসী সন্দেহ হয় তারা এলাকায় চুরি করতে গেছেন।
তখন এলাকাবাসী তাদের ঘেরাও করে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় কলেজ টিলা ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ তাদের আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। তাদের কাছ থেকে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করে কৃষ্ণের মূর্তি, রামাবলী ইত্যাদি। কিন্তু সন্দেহ জনক কোন কিছু পায়নি। তাদের বাড়ি কলকাতায় বলে জানায় পুলিশ।
কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে আগরতলা শহরে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের সন্দেহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। শুরু হচ্ছে জনরোষ। পুলিশ জনরোষ দেখে বেআব্রু চোর নিয়ে থানায় ফিরছে। ইদানিংকালে পুলিশ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মানুষ চোরকে মারধর করার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ । গত শনিবার রাতে আগরতলা শহরে বুকে বটতলা এলাকায় আটক হওয়া বিপ্লব দেব নামে এক চোরকে গরু পেটা করে আধমরা করেছে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় সেই যুবককে। ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত হতে না হতে ই রবিবার দুপুরে রাজধানীর বিটার বনে এলাকায় বাইক চুরির সন্দেহে সুরজিৎ কুমার শিব নামে বছর চল্লিশের এই অভিযুক্তকে নরসিংগড় থেকে আটক করে আনার সময় এলাকাবাসীর জনরোষে পড়ে পুলিশের গাড়ি। সেই অভিযুক্ত চোরকে পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে গণধোলাই দেয় ক্ষুদ্ধ মানুষ। এদিন রামনগর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে সমস্ত ঘটনা ঘটলেও সবটাই ছিল যেন হিন্দি সিনেমার মতো। পরে অভিযুক্ত চোরকে পুলিশের নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। সম্প্রতি স্মার্ট সিটিতে এ ধরনের ঘটনা পুলিশকে আনস্মার্ট প্রমাণ করে দিচ্ছে শহরবাসী। তবে এভাবে জনরোষের কারণে যে কোন সময় কোন অভিযুক্তের যদি প্রাণহানি ঘটে তাহলে বিষয়টি স্মার্ট সিটির পুলিশকে পুরোপুরিভাবে কলঙ্কিত করবে। এতে আইনি বেড়াজালে ফাসতে পারে মাথা গরম জনতা। যদিও আড়ালিয়া এলাকার ঘটনায় সন্ন্যাসীদের আক্রান্ত হওয়ার কোন খবর নেই।