স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ সেপ্টেম্বর : বিজেপি দাবি করছে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার। কিন্তু ইঞ্জিন ডাবল হোক, আর ট্রিপল হোক এর ড্রাইভার একজন। এই ড্রাইভার হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নতুন যাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন সেই ব্যক্তি তো আকাশ থেকেও পড়ে নি এবং মাটি ফুঁড়ে উঠেনি। যারা বিজেপি পরিচালনা করছে তাদের মধ্যে তিনি একজন ছিলেন। আর এই জৈনিক ব্যক্তিকে নির্বাচনে জয়ী করে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে হীরের টুকরোদের ভোট লুট করতে এনেছে শাসক দল বিজেপি। পুলিশকে অগ্রীম বলার ছিল তাদের যাতে গ্রেপ্তার না করা হয়। কিন্তু তাতে আগামী দিনে লাভ হবে না। লক্ষ্য করা যাচ্ছে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে।
জন জীবনের আশু জরুরি দাবিতে – শনিবার রাজধানীর ওরিয়েন্ট চৌমুনিতে সি পি আই এম-এর বিধায়কদের অবস্থানে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে এমনটাই বললেন বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নিষ্কর্মা এবং জনগণের দুষ্মন। দুর্নীতিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। লুন্ঠনের রাজত্ব কায়েম করেছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা করছে। আর এর বিরুদ্ধে মানুষ যাতে কথা বলতে না পারে তার জন্য ফ্যসিস্ট সুলভ আক্রমণ চলছে। এবং ভোটাধিকার পর্যন্ত জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নিতে চাইছে। এমনকি বিধায়কদের পর্যন্ত বিধানসভায় কথা বলতে দিচ্ছে না। কারণ গত সাড়ে চার বছরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিধানসভা অধিবেশনে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ বিরোধীদল নেতা সহ অন্যান্য বিধায়কদের কথা বলতে দিচ্ছেন না। মাইক পর্যন্ত বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। এগুলি মেনে নেবে না বামফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ বলে জানান শ্রী সরকার। যদিও জনগণ আগে থেকেই ময়দানে ছিল। কিন্তু এ সরকার যখন আক্রমণ তীব্র করে তখন মানুষ বামফ্রন্টের বিভিন্ন সংগঠনের যুক্ত হয়ে জনগণ আরো বেশি করে ময়দানে নামতে শুরু করে। কারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এবং কপাল ঠুকে আফসোস করছে। আর বলছে খাল কেটে কুমীর এনেছে। এমনটাই বলে জানান তিনি। পাশাপাশি এই দিন সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটছে বিজেপি। তারা যে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে তা ধরা পড়ে গেছে। মানুষ তাদের উপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলেছে। তারপরেও যদি ২০২৩ -এর জন্য মানুষ তাদের উপর ভরসা রাখে তাহলে ভুল করবে। সমস্যার সমাধান হবে না। আবারো রাজ্যবাসী প্রতারণা শিকার হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মানিক সরকার।
সভায় উপস্থিত বিরোধী দলের উপনেতা তথা বিধায়ক বাদল চৌধুরী বলেন বিজেপিকে হারানোর জন্য বামফ্রন্টের যা যা উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন তা নিতে হবে। এর জন্য বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে তাদের। কারণ বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা বেকারত্ব এবং শিক্ষা ব্যবস্থা। যা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। তাই এগুলি পুনঃ জীবিত করতে এ সরকারকে উৎখাত করা ছাড়া আর কোন রাস্তা বাকি নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। আয়োজিত সভায় এদিন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়কদ্বয় ভানুরাল সাহা, ইসলাম উদ্দিন, নির্মল বিশ্বাস, শ্যামল চক্রবর্তী, রতন ভৌমিক, মবস্বর আলী, সহিদ চৌধুরী।