স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ সেপ্টেম্বর : সিপিএমের খাস তালুতে কর্মসূচির বাধা হয়ে দাঁড়াতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি। ভাঙচুর বাইক। শেষ পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠে বিশালগড়। ঘটনার বিবরণের জানা যায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সিপিআইএম -এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবিতে মহাকুমার শাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করার কর্মসূচি ছিল। সেই মোতাবেক বিশালগড় অফিসটিলাস্থিত সিপিআইএম কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু করে দলের কর্মী সমর্থকরা। নেতৃত্বে ছিলেন খোদ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, বিধায়ক ভানুলাল সাহা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। মিছিল অফিসটিলা বাজারে যাওয়ার পর আরক্ষা প্রশাসনের উদ্যোগে আটকে দেওয়া হয়।
সেখানে যায় মহকুমা প্রশাসন আধিকারিক। সিপিআইএম দলের নেতৃত্বরা সেখানে মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকদের হাতে তাদের দাবি সম্বলিত স্মারক লিপি তুলে দেন। তারপর সিপিআইএম-এর মিছিল পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। সিপিআইএম দলীয় কার্যালয়ের অদূরে সিপিআইএম-এর মিছিল থেকে আচমকা হামলা চালানো হয় এক বিজেপি কর্মীকে। তারপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলে বিজেপি কর্মীরা। তখন এক প্রকার নিরুপায় হয়ে সিপিআইএম কর্মীরা পুলিশের সামনে নির্বিচারে ভাংচুর করে বাইক। আহত হয় বেশ কয়েকজন। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়েন্ত্রনে আসে পরিস্থিতি। বর্তমানে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বদের দাবি এইদিন বিজেপি কর্মীরা অশান্তি সৃষ্টি করে নি। সিপিআইএম-এর মিছিল থেকে এক বিজেপি কর্মীর উপর হামলা চালানো হয়। সেই বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক ভাবে মারধর করা হয়। তারপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। আরো অভিযোগ করেন সিপিআইএম বিশালগড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। বর্তমানে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।
এদিকে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর বক্তব্য সাড়ে চার বছর ধরে আইনের শাসন নেই রাজ্যে। আজকের কর্মসূচি কারোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা বা শক্তি প্রদর্শন ছিল না। মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে জানাতে চাইলেও বাধা সৃষ্টি করছে বিজেপি। তাতেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, টিএসআর ও আধা সামরিক বাহিনী। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে।কিন্তু এ কোন পরিস্থিতি! বিধানসভায় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে পাল্টা প্রতিরোধ নাকি শক্তি প্রদর্শন প্রশ্ন জনগণের।