স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ সেপ্টেম্বর : পাচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভারত বাংলা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পাচারকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ। সংঘর্ষে মৃত্যু এক ব্যক্তির। সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পড়ে থাকলেও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের অমানবিকতার জন্য চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হল বাংলাদেশি পাচারকারীর। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রহিমপুর সীমান্তের নারায়নপুর দক্ষিন পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় গভীর রাতে পাচারকারীদের দুই পক্ষের মধ্যে পাচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বুধবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার খবর পেয়ে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা গেলে বাংলাদেশি পাচারকারীরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল মারতে থাকে। তখন ভারতীয় ভূখণ্ডে এক বাংলাদেশীকে পেয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এক বাংলাদেশী যুবক।
জিরো পয়েন্টের বাংলাদেশ ভূখণ্ডের আশাবাড়ী বিওপির নিকট পড়ে আছে সে। জানা যায় আহত যুবককে বাংলাদেশি পাচারকারীরা টেনে হেঁচড়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে সীমান্তের এনে রাখে। এই ঘটনাটি এলাকায় চাউর হতেই ভারত এবং বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসীরা ছুটে আসে। দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। জানানো হয় দু’দেশের উর্দ্ধতন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। তারপর সকাল ১১ ঘটিকায় দু’দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে পতাকা মিটিং বসার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক দু দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা মিটিং চলাকালীন সময়ে গুরুতরভাবে আহত বাংলাদেশি যুবকটির মৃত্যু হয়। তখন বাংলাদেশ সূত্রে তাকে সনাক্ত করা হয়। মৃত্যুর আগে গুরুতরভাবে আহত ব্যক্তিকে নিয়ে দু দেশের প্রশাসনিক দের মধ্যে চলে এক অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গির ঘটনা।কেউ তাকে মানবিক দৃষ্টি ভঙ্গি দেখে চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন বোধ করেনি। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীরা বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড চিকিৎসা করতে দেয়নি। বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বলেন, ব্যক্তিটি আহত অবস্থায় ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছে তাই আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা করানো যাবেনা। গ্রামবাসীর জবানবন্দিতে বাংলাদেশি ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও বিজিবি বাংলাদেশি অস্বীকার করে এক অমানবিক দৃষ্টান্ত রেখেছেন। গ্রামবাসীরা দায়ী করছে যে,বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলার শশীদল বিজিবির ৬৬নং ব্যাটেলিয়ান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে বাংলাদেশি নাগরিকের একটি তাজা প্রাণ চলে গেল। মৃত্যুর পর ব্যক্তিটিকে শহিদুলের পরিবারের লোকজনেরা এসে শনাক্ত করে। জানা যায় তার বাড়ি বাংলাদেশ রাজশাহী জেলার নাওগাঁও এলাকায়, তার নাম মোহাম্মদ তুষার খাঁ। পাচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয় আর্থিক লেনদেন কে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষের ঘটনার মধ্য দিয়েই শেষ পর্যন্ত চিরবিদায় হতে হয়েছে বলে অনেকের ধারণা। ঘটনার শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।