স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২৩ অক্টোবর : গত ১৬ অক্টোবর জিরানিয়া রেল স্টেশন থেকে উদ্ধার হয় সাড়ে চার কোটি টাকার অধিক নেশা জাতীয় কফ সিরাপ। আসাম রাইফেল, কাস্টমস ও পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য পায়। দিল্লি থেকে আগরতলা গামী মালবাহী রেলের ৩০০৩০০১০৮৯২ এবং ৩১০৩২৫৭০৪৩ দুটি বগি থেকে উদ্ধার হয় এই নেশা সামগ্রী। বদরপুর থেকে ট্রেনের দুটি বগির দিকে নজর ছিল গোয়ান্দা সরকার।
অবশেষে আসাম রাইফেলস, কাস্টমস, জিরানিয়া থানার পুলিশ এবং রেল পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে ১৭৪ কার্টুনে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার নেশা জাতীয় কফ সিরাপ। এই নেশা সামগ্রী উদ্ধার হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলিও সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগে। কারন কে বা কারা এই নেশা সামগ্রী রাজ্যে নিয়ে এসেছে এই নিয়ে আরক্ষা প্রশাসন থেকে কোন কিছু জানানো হয় নি। বিরোধীদের অভিযোগ এই নেশা সামগ্রী রাজ্যে নিয়ে আসার পিছনে রয়েছে প্রভাবশালী কোন ব্যক্তি। যার কারনে আরক্ষা প্রশাসন ও সরকার নিরব ভূমিকা পালন করছে। অবশেষে জিরানিয়া রেল ষ্টেশন থেকে নেশা সামগ্রী উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নামল রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের এন্টি নারকোটিক্স শাখা। জানা যায় ঘোষ ট্রান্সপোর্ট নামে কোন এক এজেন্সির নামে এই সকল নেশা সামগ্রী এসেছে। সেই সুত্র ধরে বৃহস্পতিবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের এন্টি নারকোটিক্স শাখা ধলেশ্বরের দেবেন্দ্র রোড এলাকার ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী অরুন ঘোষের বাড়িতে অভিযান চালায়।
ক্রাইম ব্রাঞ্চের এন্টি নারকোটিক্স শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌভিক দে-র নেতৃত্বে এইদিন অরুণ ঘোষের বাড়িতে অভিযান চালায়। এইদিন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে অভিযান চালানো হয়। তবে এই অভিযানে কি কি উদ্ধার হয়েছে তা জানা যায় নি। ক্রাইম ব্রাঞ্চের এন্টি নারকোটিক্স শাখার আধিকারিকরাও অভিযানের বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলেন নি। শুধু জানিয়েছে জিলানিয়া রেল স্টেশনে মাদক আটক ঘটনার তদন্ত করতে তারা এসেছিল।

