স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ সেপ্টেম্বর : দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য আঁকাশ ছোঁয়া এবং ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন। মানুষের মধ্যে শুধু সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করছে এই সরকার। তাই ভারত জড়ো যাত্রা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কংগ্রেস। ৭ সেপ্টেম্বর সর্বধর্ম পাঠ হবে দেশের প্রত্যেক রাজ্যে কংগ্রেস ভবনের মতো ত্রিপুরার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে। এদিন বিকাল ৪ টা ১৫ মিনিটে সর্বধর্ম পাঠ করা হবে। পরের দিন অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত ভারত জড়ো যাত্রার সূচনা করা হবে।
অনুরূপভাবে রাজ্যের সবকটি বিধানসভা কেন্দ্রে এই পদযাত্রা করা হবে। এর জন্য কংগ্রেস সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। ৮ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে ভারত জোড়া যাত্রা শুরু হবে। সকাল ৭ টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত এবং সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই পদ যাত্রা চলবে। পদযাত্রায় ১১৮ জন মানুষ অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ৩১ জন মহিলা রয়েছে। ৩,৫৭০ কিলোমিটার ১৫০ দিনে সম্পন্ন করা হবে। এর মধ্যে বারটি রাজ্য পায়ে হেঁটে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পৌছাবে বলে জানান জাতীয় কংগ্রেসের সম্পাদিকা জারিতা লাইফ্রাং। তিনি বলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী চাইছেন এই জনবিরোধী বিজেপি সরকারকে দেশ থেকে উৎখাত করতে। তাই দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি বলে জানান জারিতা লাইফ্রাং। ত্রিপুরা রাজ্যের ক্ষেত্রে যে কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তা অবশ্যই পালন করা হবে। এর জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশককে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। পুলিশ প্রশাসন এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে কর্মসূচি যাতে কংগ্রেস শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারে তা সুনিশ্চিত করবে। কারণ এটা কংগ্রেসের গণতান্ত্রিক অধিকার বলে জানান বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ।