Friday, March 29, 2024
বাড়িরাজ্যগ্রাম শক্তিশালী এবং স্বশক্ত না হলে রাজ্য শক্তিশালী হবে না : মুখ্যমন্ত্রী

গ্রাম শক্তিশালী এবং স্বশক্ত না হলে রাজ্য শক্তিশালী হবে না : মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ আগস্ট :  বুধবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধীন টি আর এল এম -র উদ্যোগে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন পোগ্রাম ও ক্রেডিট ক্যাম্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, রাজ্য সরকার চাইছে মহিলাদের আর্থ সামাজিক ও মানোন্নয়ন ঘটাতে। এই জন্য মহিলাদের জন্য চাকুরি ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ৭০ শতাংশ মানুষ গ্রামীন এলাকায় বসবাস করেন।

 গ্রাম শক্তিশালী এবং স্ব শক্ত না হলে রাজ্য শক্তিশালি হবে না, ঠিক তেমনি ভাবে দেশ শক্তিশালী হওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। ৩ লক্ষ ৪ হাজার গ্রামীন মহিলাদের ৩৭৭৩৫ টি স্ব সহায়ক গোষ্ঠীর মাধ্যমে সংগঠিত করা হয়েছে। জাতীয় গ্রামীন জিবিকা মিশনের অধীনে ১৬৪৩ টি গ্রামীন সংস্থা করা হয়েছে। ৪১ টি ফেরডারেশন রয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১১ হাজারের উপর স্ব সহায়ক গোষ্ঠীকে উন্নতি করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত স্বসহায়ক দল গুলিকে ৪৬৮ কোটি টাকার উপর ঋন প্রদান করা হয়েছে বলেও তথ্য তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন ভাবে তাদের সহায়তা করা হচ্ছে। তাতে কাজের মান আরও উন্নত হয়। ভিল মার্ট নামে একটি ই কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। যাতে করে স্ব সহায়ক দল গুলির উৎপাদিত সামগ্রী খুব সহজে বিক্রি করা যায় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ঐক্যের মধ্যে শক্তি রয়েছে। গ্রামের দারিদ্রতা করনের জন্য এক সঙ্গে আসা প্রয়োজন। সরকার একটা কার্যক্রম তৈরি করতেই পারে। কিন্তু এই কার্যক্রমকে আন্দোলনে পরিণত করা বড় বিষয়। এটা মহিলাদের জন্য হচ্ছে বলে জানান উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। সেই আন্দোলন হল জাত, পাত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে নিজের পায়ে দাড়ানোর, আত্ম নির্ভরতার আন্দোলন রাজ্যে শুরু হয়েছে । সেই আন্দোলনে সৈনিক মহিলারা বলে জানান তিনি। এদিন স্বসহায়ক দল গুলির হাতে ব্যাঙ্ক ঋনের টাকা তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলার সভাধিপতি অন্তরা সরকার দাস, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের বিশেষ সচিব ডা সন্দীপ রাঠোর, জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন,  টি আর এল এম-র সি ই ও ডা বিশাল কুমার সহ অন্যান্যরা। এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেয় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, বি এ সি এবং জেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও এস এইচ জি-র সদস্যরা। এদিন ২২ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক লোন এস এইচ জি-র মধ্যে প্রদান করা হয়। গ্রামীন দারিদ্রতা দুরিকরণ পরিকল্পনা প্রতিটি গ্রাম স্তরে তৈরি করা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান বক্তারা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য