স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১৩ অক্টোবর : রাজ্যে ক্রমাগত নারী নির্যাতন সংগঠিত হচ্ছে। বিগত দিনে নারী নির্যাতনের এমন ঘটনা সংঘটিত হয়নি। বর্তমানে প্রকাশ্যে নারী নির্যাতন, খুন, ধর্ষণ সহ বিভিন্ন নারী সংক্রান্ত অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। গত কয়েক মাস আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হয়েছিল পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের মতো যাতে নারী নির্যাতন রুখতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন তিনি।
যাতে সকলে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নারী নির্যাতনের ঘটনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীও সাড়া দিয়েছিলেন। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হল এখন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেননি। বরং এখন তিনি বলে বেড়াচ্ছেন ত্রিপুরা রাজ্য উন্নত ত্রিপুরা। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান প্রাক্তন সাংসদ তথা সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির কেন্দ্রীয় সম্পাদিকা ঝর্ণা দাস বৈদ্য। সোমবার সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতির রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আরো বলেন, বিগত দিনে নারী নির্যাতনের এমন ঘটনা সংঘটিত হয়নি। বর্তমানে প্রকাশ্যে নারী নির্যাতন, খুন, ধর্ষণ সহ বিভিন্ন নারী সংক্রান্ত অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত দুর্গাপূজায় প্রতি মণ্ডপের সামনে শারদোৎসবের শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে মন্ত্রী, বিধায়ক ও প্রদেশ বিজেপি সভাপতি বড় বড় ফ্ল্যাক্স লাগিয়েছেন। অথচ রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা দুর্গাপূজার আগে থেকে আরো মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। শিশু কন্যারাও পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। এমনকি এই শারদ উৎসব পর্যন্ত নারীরা শান্তি মত কাটাতে পারছে না। গত ১১ অক্টোবর পানিসাগরে ১৪ মাসের শিশুর কন্যা পাশবিক লালসার শিকারের পর খুন হয়েছে, অপরদিকে রাজধানীর ইন্দ্রনগর এলাকায় ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে ঘর থেকে অপহরণ করে নিয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীর ইছা বাজার এলাকার ১৪ বছরের এক নাবালিকা এক যুবকের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে টিউশনি থেকে বাড়ি ফিরেনি।
১২ অক্টোবর থেকে ১৪ বছরের এই নাবালিকা নিখোঁজ আছে। পুলিশ এবং এলাকাবাসীর তৎপরতায় এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনাগুলি বিশেষ করে নেশায় আসক্ত হয়ে সংঘটিত করছে দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি আরো বলেন এ নেশার সঙ্গে জড়িত মন্ডল। মন্ডলের মদতে চলছে নেশার আখড়া। তদন্ত করলে শাসক দলের নেতাদের পরিজন ধরা পড়ছে। এই ঘটনাগুলির জন্য সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতি উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য কৃষ্ণা রক্ষিত সহ অন্যান্যরা।

