Wednesday, March 19, 2025
বাড়িরাজ্য১৫ দিনের গৃহবধূর আত্মহত্যা

১৫ দিনের গৃহবধূর আত্মহত্যা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ আগস্ট :  বিয়ের ১৫ দিন পর বাপের বাড়িতে বিষ পান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল গৃহবধূ। পরে গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন স্বামীর বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর করে জিনিস পত্র। মারধর করে গৃহবধুর স্বামীকে বলে অভিযোগ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত পনের আগষ্ট খোয়াই তবলাবাড়ী এলাকার জগদীশ দাসের ছোট ছেলে অভিজিৎ এর সাথে আশারামবাড়ী এলাকার অনিল নমঃশূদ্রের মেয়ে অনামিকা নমঃশূদ্র সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর রীতি নীতি অনুযায়ী ২৪ আগষ্ট গৃহবধূর কাকা এসে অনামিকাকে আট দিনের জন্য বেড়াতে নিয়ে যায় অনামিকার বাপের বাড়িতে। বেড়াতে গিয়ে পরের দিন সকাল ৯ নয়টা নাগাদ নিজ বাপের বাড়িতেই বিষ পান করে।

পরবর্তী সময় অনামিকাকে খোয়াই হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিবি হাসপাতালে নিয়ে যায় গৃহবধূকে। কিন্তু বুধবার সকালে গৃহবধূ মৃত্যুর কূলে ঢলে পড়ে। অন্যদিকে বুধবার সকালে অনামিকার ভাই ঝুটন নমঃশূদ্র ও তার কাকা সমর নমঃশূদ্র সহ ৪০ থেকে ৫০ জন লোক গিয়ে অনামিকার স্বামীর বাড়িতে ভাঙচুর করে। গুরুতর আহত হয় বেশ কয়েজন বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময় অনামিকার স্বামী অভিজিৎ প্রাণ বাঁচাতে ছুটে যায় এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য রতন পালের বাড়িতে। কিন্তু সেখানে গিয়েও হামলা চালায় ঝুটন ও সমর নম শুদ্র নমঃশূদ্র। এমন কি পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে ও ভাংচুর চালায়।

অন্যদিকে অনামিকর শশুর বাড়ির অভিযোগ অনামিকা নাকি বউ ভাতের রাতে তার স্বামী অভিজিৎ কে বলেছে তার এই বিয়েতে কোন মত ছিল না। তারপরেও জোর করে বিয়ে দিয়েছে, ফলে এই সংসার করার ইচ্ছা নেই বলে স্বামীকে জানা।   

এদিকে অনামিকার বাপের বাড়ির অভিযোগ বিয়ে পরদিন থেকেই নাকি অনামিকাকে নির্যাতন করত শশুর বাড়ির লোক। স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানায় গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনেরা।ঘটনায় আহতের স্বামী অভিজিৎ দাস মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানায় অভিজিতের ভাই।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য