স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১০ অক্টোবর :আগামী ১৩ অক্টোবর সাত দফা দাবিতে ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সমাজের বুদ্ধিজীবী মহল সংশ্লিষ্ট সংগঠনের কাছে অনুরোধ করেছে যাতে দিপাবলীর আগে বনধ স্থগিত রাখা হয়। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ১৩ অক্টোবর বনধের দিনক্ষণ পিছিয়ে ২৩ অক্টোবরের। ২৩ অক্টোবর ২৪ ঘন্টা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এম এল এ হোস্টেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা।
তিনি বলেন, বনধের আওতার বাইরে থাকবে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস পরিষেবা সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবা। তিনি আরো জানিয়েছেন, সাত দফা দাবি সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে গত ২০২৪ সালে ৪ সেপ্টেম্বর এন এল এফ টি এবং এ টি টি এফ সংগঠনের সাথে সরকারের যে চুক্তি হয়েছে, সেটাও। এছাড়া অন্যতম দাবি হলো কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সরকারের অনুপ্রবেশ রুখতে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা সেগুলি কিছুই নেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে যাতে সেই সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় অবিলম্বে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হয়নি। অতিসত্বর যাতে ডিটেনশন ক্যাম্প করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ অনুসারে বিএসএফ, আসাম রাইফেলসের অফিসার ও জওয়ানদের নিয়ে স্পেশাল টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।
বেআইনি বিদেশি অনুপ্রবেশ রুখতে অবিলম্বে ত্রিপুরায় ইনার লাইন পারমিট চালু করতে হবে এবং অবৈধ ভাবে তৈরি করা তপশিলি জাতি ও তপশিলি জনজাতি শংসাপত্র বাতিল করতে হবে। ককবরক ভাষা রোমান হরফে লেখার জন্য অবিলম্বে সরকারি ঘোষণা করতে হবে। এছাড়াও রয়েছে স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক তিপ্রাসা চুক্তি, যা অবিলম্বে কার্যকর করার জন্য সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে বনধ থেকে দাবি জানানো হবে। উল্লেখ্য, বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা সরকারের শরিক দলের একজন সক্রিয় বিধায়ক। তিনি সংগঠনের প্রধান মুখ হয়ে যে বনধের ডাক দিয়েছে সেটা কতটা গ্রহণযোগ্য হবে এটা জনগণই ভালো বলতে পারবে। ইতিমধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে। শরিক দল হয়ে সরকারের উপর ভরসা না থাকলে যা হয় তাই ঘটছে রাজ্যে। যা এক প্রকার ভাবে বিরোধী দলের কাছে মাইলেজ এবং হাসির খোরাক। যখন তখন আন্দোলন, যখন তখন বনধ, আবার বিরোধিতা করা সবই চলছে রাজ্যে!

