স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১০ অক্টোবর :জিএসটি ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশ ও রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক শক্তিশালী হচ্ছে। জিএসটি সংস্কারের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণও উন্নত মানের হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের জীবন মান উন্নত করতে এই সংস্কার একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। শুক্রবার উদয়পুর রাজর্ষি কলাক্ষেত্রে জিএসটি থেকে পরবর্তী প্রজন্মের সুবিধা সম্পর্কে আয়োজিত কর্মশালায় একথা বলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। ত্রিপুরা সরকারের অর্থ দপ্তর ও রাজ্য কর কমিশনারেটের উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বক্তব্য রেখে বলেন, দেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ওয়ান ন্যাশন ওয়ান ট্যাক্স করে দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেটা আগে কেউ কখনো ভাবতে পারেন নি। আমরা আগে বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স দেখেছি। যেমন – এক্সাইজ ডিউটি, কাস্টমস ডিউটি, সার্ভিস ট্যাক্স, ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স, সেন্ট্রাল স্টেট ট্যাক্স, লাক্সারি ট্যাক্স, এন্টারটেইনমেন্ট ট্যাক্স ইত্যাদি। সেই জায়গায় দেশের মানুষকে সঠিক নির্দেশনা দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মার্গদর্শনে সারা দেশে জিএসটি চালু হয়েছে। আর এই ট্যাক্সের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ট্যাক্স সিস্টেম চালু হওয়াতে দেশের অর্থনীতি ১১ তম স্থান থেকে চতুর্থ স্থানে চলে এসেছে। এখন লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত বিকশিত ভারত ২০৪৭।
এই লক্ষ্যে বিকশিত ত্রিপুরা ২০৪৭ এর জন্য রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, জিএসটির ক্ষেত্রে আগে ৫টি পর্যায় ছিল। যা এখন দুই পর্যায়ে যথাক্রমে ৫% ও ১৮% এ নিয়ে আসা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছে। আর এই জিএসটির বিষয়টা একটা মানুষ বান্ধব সিদ্ধান্ত। মূলত সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এটা করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষ তাদের মাসিক খরচে অন্তত ৪% সুবিধা পাবেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্থসচিব অপূর্ব রায়, চিফ কমিশনার অব স্টেট ট্যাক্স ড. আকিঞ্চন সরকার সহ অন্যান্য আধিকারিক।

