স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ আগস্ট : রাজ্যে বেকার আন্দোলন ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। এবং সরকার সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে বেকারত্বের জ্বালায় তারা যদি আত্মহত্যা করলে, এর জন্য দায়ী কে হবে? এমনটাই চিত্র ফুটে উঠেছে সোমবার জে আর বি টি অফিসে। সরকারি দপ্তর গুলিতে শূন্য পদ পূরণ করার জন্য এক বছর আগে জে আর বি টি -র মাধ্যমে লিখিত পরিক্ষা হয়। বিভিন্ন দপ্তরে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে শূন্য পদ পূরণ করা হবে বলে। কিন্তু পরীক্ষা সংঘটিত হওয়ার পর দুজন কোভিডের জন্য জে আর বি টি -র পরীক্ষায় বসতে পারেনি বলে মামলা ত্রিপুরা হাইকোর্টে।
তারপর হাইকোর্ট জে আর বি টি ফল প্রকাশ স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে। গত ২৩ আগস্ট উচ্চ আদালত সেই অন্তর্বর্তী মামলা তুলে দেয়। এবং এখন সরকার যেকোনো সময় ফলাফল ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু কয়েকদিন অতিক্রান্ত হয়ে গেল ফলাফল ঘোষনা করছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃপক্ষ। তাই এদিন বেকার যুবক যুবতীরা দপ্তরের অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। দাবি তুলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করার জন্য। শেষ পর্যন্ত দপ্তরের চেয়ারম্যান লুকিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। এতে পরিস্থিতি আরো বেশি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ টি এস আর সহ আধা সামরিক বাহিনী। কিন্তু দপ্তরের অধিকর্তার সাথে দেখা করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে বেকার যুবকরা প্রশ্ন করেন যদি বেকারত্বে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তাহলে দায়ী কে হবে ? আদালতে শুনানির পরেও দপ্তর এ ধরনের তালবাহানা কেন করছে ? পুলিশ আধিকারিকেরা কোন জবাব দিতে না পেরে শেষ পর্যন্ত দপ্তরের কন্টোলারের সাথে দেখা করার সুযোগ করে দেয়। কিন্তু কোন সদুত্তর না পেয়ে তারা জানায় আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে যদি সরকার জে আর বি টি -র মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না করে তাহলে পুরো প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যাবে। তাই দপ্তরের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায় আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি ফলাফল ঘোষণা না হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। যা কল্পনাও করতে পারবেনা সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং সরকার। পাশাপাশি আরো বলে আগামী সাতদিন প্রত্যেক মন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে ফলাফল প্রকাশের দাবিতে ধর্নায় বসবে তারা। আর তাতে যদি টনক না মরে তাহলে সাতদিন পর বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ডেপুটেশনের পর যুবক-যুবতীরা।