স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ আগস্ট : যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবিতে সোমবার পুনরায় সরব হল প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান সংলগ্ন এলাকায় এসে জমায়েত হয় কয়েক শতাধিক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থক। মিছিলটি শুরু হওয়ার পর রাধানগর স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছাতেই পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় বসে সরকারের প্রতি দাবি জানায় কর্মসংস্থান এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য হ্রাস করার। দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ চলার পর পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের গ্রেপ্তার করে। এদিন মিছিলে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ত্রিপুরা রাজ্যে বেকার যুবকরা বর্তমান সরকারের আমলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এবং তাদের চাকুরি মিলছে না। সারা রাজ্যে শিক্ষায় নৈরাজ্য চলছে, পেটে অন্য নেই, স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে রাজ্যের মানুষ। এবং নেশা মুক্ত ত্রিপুরার স্লোগান তুলে নেশা যুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তুলছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই বলে জানান তিনি।
মিছিলে উপস্থিত সাংসদ সুস্মিতা দেব জানান, রাজ্যে বিজেপি’র রাষ্ট্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এসেছেন। কিন্তু জেপি নাড্ডার রাজ্যবাসীকে জবাব দেওয়ার দরকার চাকরি কোথায় ? কারণ ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে তারাই বলেছিলেন মিস কলে চাকরি হবে রাজ্যের বেকারদের। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে চাকুরীর কোন হদিস নেই। কিন্তু এগুলি জবাব না দিয়ে তিনি কোন অধিকারে ত্রিপুরায় জনসভা করতে এসেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুস্মিতা দেব।
এদিকে প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শান্তনু সাহা জানান, সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলায় তাদের গ্রেফতার করে নেওয়া হয় এদিন। কিন্তু এভাবে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলন রুখতে পারবে না বিজেপি সরকার। আগামী দিনের বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুশিয়ারি দেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ লাইন মাঠে।