স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ আগস্ট : সোমবার বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার শান্তিপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর তিপ্রা মথার আগামী রণকৌশল তৈরি করবে। কিন্তু ২০১৮ মতো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং সিপিআইএম -এর মতো ধোঁকা খেতে চায় না তিপ্রাসারা। উন্নয়ন বাস্তবে চায় তিপ্রাসা। কিন্তু সোমবার জেপি নাড্ডার জনসভায় কি ঘোষণা করেন সেদিকে নজর রয়েছে সকলে।
রবিবার সামাজিক মাধ্যমে এসে ভারতের জনতা পার্টি রাষ্ট্রীয় সভাপতিকে স্বাগত জানিয়ে এমনটাই বললেন তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে বহু সুযোগ দিয়েছে তিপ্রাসা। কোন সর্বভারতীয় দল তিপ্রাসাদের গুরুত্ব দেয় না। এমনকি এ ডি সি এলাকায় গিয়ে তিপ্রাসাদের খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন পর্যন্ত বলে মনে করেন নি। কিন্তু এত বছর যে বঞ্চনার শিকার হয়েছে তার ন্যায় চায় তিপ্রাসা। এবং তিপ্রাল্যান্ড ও ২০২৩ -এর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য লড়াই করার জন্য এখন সর্বশক্তি দিয়ে ময়দানে নামতে প্রস্তুত। এর জন্য তিপ্রাসাকে থানসা হওয়ার প্রয়োজন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাবি পূরণ করা মূল লক্ষ্য রেখে এগিয়ে যেতে হবে বলে জানান তিনি। আরো বলেন, তিপ্রা মথার বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে। তিপ্রা মথা কোন বনধের ডাক দেয় নি। কোন রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশে ব্যাঘাত ঘটানো তিপ্রা মথার সংস্কৃতিতে নেই।
পাশাপাশি চাকরিচ্যুত ১০,৩২৩ -এর প্রসঙ্গে তিনি বলেন রবিবার দিল্লির আইনজীবীর সাথে বৈঠক হয়েছে। চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমস্যাটি খুব দ্রুত সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হবে। এর জন্য যে টাকা ব্যয় হবে সম্পূর্ণ টাকা বহন করবেন প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন বলে জানান তিনি। কারণ চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা যাতে ন্যায় পায় সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান শ্রী দেববর্মণ।