স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ আগস্ট : দলীয় বৈঠক থেকে বাড়ি ফেরার সময় শাসক দলের দুর্বৃত্তদের দ্বারা আক্রমণের শিকার সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটি সদস্য তথা প্রাক্তন মেয়র ইন কাউন্সিলর বিপদ বন্ধু ঋষি দাস। ঘটনা শুক্রবার আমতলি থানার সামনে। বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। জানা যায় শুক্রবার হাঁপানিয়া সিপিআইএম মহকুমা কমিটি অফিসে বৈঠক ছিল। বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার সময় আমতলী থানা সামনে আসতে শাসক দলের একদল দুর্বৃত্ত লাঠি সাটা নিয়ে বিপদ বন্ধু ঋষি দাসের উপর আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হলে অন্যান্য কর্মী সমর্থকরা ছুটে এসে জিবি হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে আসে। বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিপদ বন্ধু ঋষি দাস জানান, এদিন থানার সামনে আসতেই তাকে ৩০-৪০ জন দুর্বৃত্ত ঘিরে ফেলে লাথি খুশি মারতে শুরু করে তার মাথায়। এমনকি হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে স্টিক দিয়ে তার পায়ে বেধড়ক পেটাই করে। গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন এবং দুটি এটিএম কার্ড সহ পার্টির নথিপত্র বাইকের বক্স থেকে নিয়ে যায়। এবং বাইকটি ভেঙে গুড়িয়ে ফেলে। যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা মদ দিয়ে তাকে স্নান করিয়ে দিয়ে যায়। থানার ভেতর থেকে পুলিশ সবকিছু প্রত্যক্ষ করলেও দুর্বৃত্তদের আটক করতে ছুটে আসেনি বলে অভিযোগ তুলেন বিপদ বন্ধু ঋষি দাসের। ঘটনার খবর পেয়ে জিবি হাসপাতালে ছুটে যান সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটি সম্পাদক রতন দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। রতন দাস জানান, বিরোধী দল সিপিআইএমের কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে নেতৃত্বদের উপর এ ধরনের হামলার ঘটনা প্রতিদিন ঘটে চলেছে। রাজ্যে আইনের শাসন নেই। এক বর্বর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সারা রাজ্যে জঙ্গলে রাজত্বের বিরুদ্ধে বহুবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোন গ্রেপ্তার হচ্ছে না। লাগাতার সন্ত্রাস বেড়ে চলেছে। এর নিন্দা জানানোর ভাষা পর্যন্ত হারিয়ে ফেলছে বিরোধী দলের সিপিআইএম। এমনকি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন সমস্ত কিছুই মুখ্যমন্ত্রী জানেন। তারপরও কোন কঠোর আইনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো সিপিআইএম রাজ্য দপ্তরে আক্রমণ সংগঠিত করার সময় যে নেতৃত্বে ছিলেন তিনি প্রদেশ বিজেপি সভাপতি দায়িত্ব পেয়েছেন। জনগণকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি এই দিন তিনি সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটির পক্ষ থেকে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। না হলে বিরোধীদল আন্দোলনে নামবে বলে হুশিয়ারি দেন।