স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ আগস্ট : রীতিমতো পুলিশের ব্যর্থতাই ষ্পষ্ট হলো শুক্রবার। এদিন পুলিশের সদর কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য পুলিশের এ আই জি পি ক্রাইম কৃষ্ণনেন্দু চক্রবর্তী ও রাজ্য পুলিশের পি আর ও জ্যোতিষ্মান চৌধুরী জানান রাজ্য সরকার নেশামুক্ত ত্রিপুরার ডাক দিয়েছিল। সেই মোতাবেক রাজ্য পুলিশ নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার জন্য অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানে শেষ এক মাসে ৩,৬৩৪ কেজি শুকনো গাঁজা, ২৭৬ গ্রাম ব্রাউন সুগার, ৫,২৭৭ বোতল নেশা জাতীয় কফ সিরাপ, ৭,৮০৪ টি ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছে। একই সাথে ২০ টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এবং এন ডি পি এস ধারায় ৪৮ টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই সকল মামলায় ৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৫ আগস্ট আত্মসমর্পণ করেছে ৪ জন এন এল এফ টি বিএম গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য। তারা হলো উমেশ কলই ওরফে উকলাই, ফনিজয় রিয়াং ওরফে সাতুকারি, ভিক্টর জমাতিয়া ওরফে হালাম এবং উত্তম কিশোর জমাতিয়া ওরফে ঊষা। এন এল এফ টি-র সহযোগী সূর্য কিশোর জমাতিয়া ও ব্রজেন্দ্র রিয়াং -কে আটক করা হয়েছে। তারা আরও জানান শহরে অবৈধ পারকিং-এর বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ। সিসি টিভির ফুটেজের ভিত্তিতে ই-চালান কাটা হচ্ছে। শেষ এক মাসে প্রায় ৯৩ লক্ষ টাকা জরিমানা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান তারা। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে রীতিমতোই গত চার বছরে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগ মূলত পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। যার কারণে লাগাতার সন্ত্রাসের ঘটনা সংঘটিত হলেও কোন দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নিচ্ছে না পুলিশ। এবং সে বিষয়ে জানতে চাইলে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বসা পুলিশ আধিকারিকরা কোন উত্তর দিতে পারেননি। এবং বলেন বিষয়টি পুলিশের সদর দপ্তর থেকে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সভা সমাবেশ করার অনুমতি না পাওয়ার বিষয়টি দুই পুলিশ আধিকারিক শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো চেষ্টা করে। তারা বলেন এটা জেলা পুলিশ সুপার বলতে পারবে কি কারনে তারা অনুমতি দেয়নি।