Thursday, November 13, 2025
বাড়িরাজ্যজনজাতিদের মুখে হাসি ফুটানোর দায়িত্ব বিজেপি -র : মুখ্যমন্ত্রী

জনজাতিদের মুখে হাসি ফুটানোর দায়িত্ব বিজেপি -র : মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৫ সেপ্টেম্বর : প্রদেশ বিজেপির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই যোগদান সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। প্রদিপ প্রজ্জলন করে যোগদান সভার সুচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তী সময় যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন ত্রিপুরা রাজ্যে রাজনীতির নামে এতদিন ধরে জনজাতিদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। তার থেকে জনজাতিদের মুক্তি দিতে হবে। বিজেপির প্রতি জনজাতিদের আস্তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজেপি এতদিন ধরে সঠিক ভাবে জনজাতিদের কাছে পৌছাতে পারে নি।

এই সুযোগে জনজাতিদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। জনজাতিদের মুখে হাসি ফুটানোর দায়িত্ব বিজেপি-র। সাধারন মানুষ ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করেছে জাতিয় স্তরের রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত না হলে দেশ ও রাজ্যের উন্নয়ন হবে না। বিজেপি রাজনিতিকে রাজনীতির মতো করে। নিতি ছাড়া রাজনীতি হয় না। বিজেপির নিতি রয়েছে। যার কারনে বিজেপি সরকারের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও আশ্বাস রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান ত্রিপুরা রাজ্যে ১৯ জনজাতি গোষ্ঠী রয়েছে। সরকার চাইছে তাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে বাচিয়ে রাখতে। ২০১৯ থেকে এখনো পর্যন্ত জনজাতি গোষ্ঠীর ৭ জনকে পদ্মশ্রী পুরুস্কার প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পূর্বে কেউ এমনটা করে নি। বিজেপি ভোটের জন্য রাজনীতি করে না। ত্রিপুরা থেকে কোন দিন কেউ রাজ্যপাল হবে ভাবতেও পারে নি। কিন্তু ত্রিপুরা থেকে একজন রাজ্যপাল হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যে জাতি জনজাতির মিশ্র বসবাস। এইখানে একে অপরকে নিয়েই চলতে হবে। কেউ যেন কারো অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেই দিকে নজর রাখতে হবে।এডিসি প্রশাসনকে এইবারের বাজেটে অনেক অর্থ দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যে ২১ টি এক লব্য স্কুল হচ্ছে। শিক্ষা পরিকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা সর্ব ক্ষেত্রে বর্তমানে কাজ হচ্ছে। ত্রিপুরা রাজ্যের ৬৮ শতাংশ জায়গা এডিসি এলাকা। এডিসি-র উন্নয়ন ছাড়া ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

ইতিমধ্যে এডিসি প্রশাসনকে প্রচুর অর্থ প্রদান করা হয়েছে। কেউ যদি বঞ্চনার কথা বলে তাহলে চলবে না। জনজাতি ছাত্র-ছাত্রিদের স্কলারশিপের টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জনজাতি ছেলে মেয়েদের এক কালিন আর্থিক সাহায্য করার বিষয়টি নিয়েও চিন্তা ভাবনা চলছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। যোগদান সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, প্রাক্তন বিধায়ক পরিমল দেববর্মা, প্রদেশ বিজেপির সাধারন সম্পাদক বিপিন দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। যোগদান সভায় এইদিন তিপ্রা মথা নেতা পরিতোষ দেব্বর্মার নেতৃত্বে ৯৪০ জন ভোটার তিপ্রা মথা দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে যোগদান করে। মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা নবাগতদের হাতে বিজেপি দলের পতাকা তুলে দিয়ে তাদেরকে বিজেপি দলে বরন করে নেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য