Thursday, November 13, 2025
বাড়িরাজ্যনির্বাচন দপ্তরে গিয়ে এস.আই.আর -এর বিরোধিতা করলো সিপিআইএম, অভিযোগ গোপনে এস.আই.আর চালু...

নির্বাচন দপ্তরে গিয়ে এস.আই.আর -এর বিরোধিতা করলো সিপিআইএম, অভিযোগ গোপনে এস.আই.আর চালু করতে চাইছে নির্বাচন দপ্তর

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৫ সেপ্টেম্বর : রাজ্যের নির্বাচন দপ্তরের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সাথে বৃহস্পতিবার সিপিআইএমের এক প্রতিনিধি দল দেখা করেন। তারপর এদিন বিকেলে সিপিআইএম রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন সিপিআইএম রাজ্য কমিটির নেতৃত্ব মানিক দে। তিনি বলেন, নির্বাচন দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন সিপিআইএমের নরেশ জমাতিয়া, সুদন দাস‌ এবং তিনি নিজে দেখা করেছেন। কারণ লক্ষ্য করা গেছে রাজ্যের নির্বাচন দপ্তর এস আই আর -কে সামনে রেখে কাজ শুরু করেছে।

রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা এলাকা থেকে এগুলি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নজরে আসে। এরমধ্যে দেখা গেছে ২০০৫ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে যাদের নাম তালিকায় উঠেছে তাদের নাম চিহ্নিত করা হচ্ছে। আবার দেখা যাচ্ছে ১৯৮৭ সালে হিসাব ধরে তারা কাজ করছে। সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান সামারি রিভিশন করার জন্য এটা করা হচ্ছে। তারপর উনাকে প্রশ্ন করা হয় যদি এটা এস আই আর না হয়ে থাকে তাহলে কেন করা হচ্ছে? পাল্টা দপ্তরের আধিকারিক বলেন এটা এস আই আর নয়। তারপর ই আর ও একটি বিবৃতি ওনার কাছে তুলে ধরা হয়। তারপর তিনি বলেন, এস আই আর- এর প্রাথমিক পর্যায়। তারপর আধিকারিক এর কাছে প্রশ্ন করা হয় কেন তারা সর্বজনীয় বৈঠক না দেখে এস আই আর -এর প্রাথমিক কাজকর্ম শুরু করেছে? ইতিমধ্যে যাতে এস আই আর -এর কাজকর্ম স্থগিত করে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে সিপিআইএম তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবে। বর্তমানেও সিপিআইএম প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দাবি করে এস আই আর যাতে ত্রিপুরা রাজ্যে কার্যক্রম না করা হয়। এক বিরোধিতা করে সিপিআইএম। এস আই আর সরকারের অঙ্গুলি হেলনে করা হচ্ছে বলে দাবি করেন মানিক দে। সিপিআইএম নেতৃত্ব মানিক দে শাসকদলের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, বিজেপি জনবিচ্ছিন্নতার জন্য এস আই আর করছে। যাতে বাঁকা পথে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া যায়। এটা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক কাজ বলে দাবি করা হয় সিপিআইএমের পক্ষ থেকে। তিনি আরো বলেন জম্পুই জলা, অমরপুর, শান্তির বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচন দপ্তরের সর্বদলীয় বৈঠকে গিয়ে এবং বৈঠকের পর আক্রান্ত হয়েছে সিপিআইএম নেতৃত্ব। এবং তারা সঠিকভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পায়নি। এদিকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নেওয়া প্রয়োজন। কারণ নির্বাচন দপ্তরের নিরাপত্তার ব্যর্থতা রয়েছে। অপরদিকে, রাজনৈতিক দলগুলি দলীয় কার্যালয় খুলতে পারছে না। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হারিয়ে যাচ্ছে। স্বৈরাচারী এবং এক দলীয় শাসন চলছে রাজ্যে। নির্বাচন কমিশনকে যাতে এই বিষয়গুলি নির্বাচন দপ্তর অবগত করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে তার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। নির্বাচন দপ্তরের আধিকারিক আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি তিনি নির্বাচন কমিশনের নজরে দেবেন। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম নেতৃত্ব তথা প্রাক্তন মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া, প্রাক্তন বিধায়ক সুদন দাস সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য