স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ আগস্ট : শারদোৎসবের আর মাত্র এক থেকে দেড় মাস বাকি। ইতিমধ্যে চলছে প্রশাসনিক প্রস্তুতি। ক্লাব গুলিতে কাঠাম খিলি পূজার পর নির্মাণ করা হচ্ছে মণ্ডপ। মূর্তি পাড়াতে চলছে প্রতিমা তৈরির চরম প্রস্তুতি। আর প্রতিবছরের মতো দিনটির অপেক্ষা গোটা রাজ্যবাসীর। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আগরতলার মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে মায়ের গমন এবং শারদ সম্মান ২০২২ শীর্ষক এক প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় পৌরহিত্য করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সভায় বক্তব্য রেখে তিনি বলেন, শারদোৎসব সাফল্যমন্ডিত করতে সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন। সে মোতাবেক চলছে চূড়ান্ত প্রস্ততি। বিশেষ করে দশমীকে নিয়ে একটি কার্নিভাল করা হয়।
কিন্তু বিগত বছর গুলিতে করোনা মহামারির কারনে তা বন্ধ রাখতে হয়। এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ফের কার্নিভাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এই কার্নিভালকে আরও আকর্ষক ও রঙিন করার প্রস্তাব দেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এটা একটা সম্মিলিত প্রয়াস। তাই সমস্ত দপ্তর ও ক্লাব গুলিকে নিয়ে আলোচনা ক্রমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান তিনি। আগরতলা ও জেলার পূজা গুলিকে পুরস্কৃত করার উদ্যোগ নিয়েছে দপ্তর। কার্নিভালে অংশ গ্রহণকারী ক্লাব উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান কি থিম নিয়ে এই শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন তা যেন আগেই দপ্তরকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার উপর প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করতে প্রস্তুতি সভায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। পূজা উদ্যোক্তারা প্যান্ডেল তৈরির ক্ষেত্রে যাবতীয় নিয়মকানুন মেনে কাজ করছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়। যাতে পুজো প্যান্ডেল ঘিরে কোন ধরনের বিপত্তির ঘটনা না ঘটে।
ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টও বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি বৈঠকে বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় আসন্ন শারদোৎসবকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফল করে তোলার জন্য বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিরা তাদের অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আলোচনা করেছে। এবং ক্লাবগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে সুষ্ঠুভাবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে শারদোৎসব সম্পন্ন করা যায় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জন্য। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, সদর মহকুমার মহকুমা শাসক অসীম সাহা, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার স্বপন কুমার দাস, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।