স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ নভেম্বর : আসন্ন পুর নির্বাচনে রাজ্যের মনোনীত প্রার্থীরা যাতে নিরাপদে নির্বাচনী কাজ এবং প্রচার করতে পারে তার জন্য রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে কলাপাতা মনে করে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন অবমাননা করে চলেছে বলে অভিযোগ উঠছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থীদের কাছ থেকে। কারণ বিভিন্ন জায়গায় মনোনীত প্রার্থীরা প্রচার করতে গেলে শাসক দলের দুর্বৃত্তদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ।
অবশেষে আগরতলা পুর নিগমের ১০ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী পান্না দেব পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করতে সোমবার রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয়ে যান। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো তিনি সেখানে গিয়ে জেলা পুলিশ সুপার তো দূরের কথা, কোন আধিকারিকের সাথে দেখা করতে পারেননি। বরং টেনেহিঁচড়ে মহিলা পুলিশরা পান্না দেবকে রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয় থেকে বের করে রাস্তায় বসিয়ে দিয়ে যান। অবশেষে তিনি সেখানে প্রতিবাদ গড়ে তুলেন রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। পান্না দেব বলেন রবিবার রাতে পূর্ব থানার পুলিশের কাছে তিনি বাড়ি বাড়ি প্রচারের জন্য সহযোগিতা চেয়েছিলেন। পূর্ব থানার ওসি বলেছিলেন পাঁচজন কর্মী নিয়ে যেন তিনি বাড়ি বাড়ি প্রচারে যান। সে মোতাবেক সোমবার সকালে বাড়ি বাড়ি প্রচার গেলে চন্দ্রপুর এলাকায় শতাধিক বিজেপি দুর্বৃত্তরা এসে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এবং তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করে বিজেপি আশ্রিত দুর্বৃত্তরা।
পূর্ব থানার পুলিশকে ফোন করে জানানো হলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেন যদি বিজেপি কর্মীরা প্রচারে বাধা দিয়ে থাকে তাহলে প্রচার করা যাবে না। অবশেষে প্রচার না করে ফিরতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের। পূর্ব থানার পুলিশের কাছে কোনরকম সহযোগিতা না পেয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে বিষয়টি অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন বলে জানান পান্না দেব। তিনি বলেন পুলিশ বিপ্লব কুমার দেবের দালাল হয়ে গেছে। পুলিশের এই ধরনের ভূমিকা তীব্র লজ্জাজনক। তিনি সুবিচার চাইতে এসেছিলেন বলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান। কিন্তু সহযোগিতা তো দূরের কথা পুলিশের সদর কার্যালয় থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেওয়া হয়েছে পান্না দেবকে। পরবর্তী সময় পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশ এসে পান্না দেবকে রাস্তার পাশ থেকে তুলে নিয়ে যায়। এ ধরনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আরও একবার প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। একজন পুলিশ আধিকারিক হয়তোবা প্রার্থী অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে রাজ্য পুলিশ আধিকারিকেরা মহিলা পুলিশ দিয়ে মনোনীত প্রার্থীকে সদর কার্যালয় থেকে টেনে বের করে দিলেন। যা হয়তো নিন্দার ঝড় বইছে অভিজ্ঞ মহলের মধ্যে।