স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২০ সেপ্টেম্বর :কমিউনিস্টরা মানুষের মধ্যে এবং সমাজের মধ্যে শুধুমাত্র দোষ খুঁজে। তাদের কাজই মানুষকে দোষ খোঁজা। তাই তাদের একেবারে বিদায় করে দিয়েছে রাজ্যের মানুষ। রাজ্যে আর কখনো আসতে পারবে না তারা। শনিবার ৯ বনমালীপুর মন্ডলের উদ্যোগে আগরতলার কামিনী কুমার সিংহ মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের মাঠে এক প্রতিবাদ সভায় এই কথা বলেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। রাজ্যের বিরোধী দল গুলোর কুৎসা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ভারতীয় জনতা পার্টির এই প্রতিবাদ জনসভার আয়োজন করা হয়। বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কমিউনিস্টকে কাঠগড়ায় তুলতে গিয়ে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বলেন, কমিউনিস্টরা তথা ইমারজেন্সি পার্টি রাজনীতি রাজনীতির জন্য করে।
ভারতীয় জনতা পার্টি মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করে। এই হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং ইমার্জেন্সি পার্টির মধ্যে পার্থক্য। ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরের পরিকাঠামোগত মান উন্নয়নের শিলান্যস হয়েছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতির হাত ধরে। তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার প্রায় ৩৮ কোটি টাকা এবং ত্রিপুরা সরকার ১৬ কোটি টাকা ব্যয় করে ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের ভৈব্য মন্দিরের পরিকাঠামোগত মান উন্নয়ন করেছে। নবরূপে সেজে উঠা এই মায়ের মন্দিরের আনুষ্ঠানিক সূচনা করতে ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষের বিশ্বাস রয়েছে এই একান্ন পীঠের এই পীঠ ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরের উপর। সেই বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী আসছেন। লক্ষ্য করা গেছে এই মায়ের মন্দিরে রাজ্যের জাতি জনজাতি এবং মুসলিম মানুষ পর্যন্ত যায়। কিন্তু বাম শাসনের দীর্ঘ ৩৫ বছরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দশরথ দেব, নৃপেন চক্রবর্তী এবং মানিক সরকার ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরে যেতে দেখা যায়নি।
তারা এতদিন শুধুমাত্র রাজ্যের মানুষের ভোটে জয়ী হয়েছেন, কোনদিন ক্যাডার ছাড়া আর কিছুই চেনে নি। এটা ত্রিপুরা রাজ্যের দুর্ভাগ্য। কমিউনিস্টরা কখনো রাজ্যের জাতি জনজাতি অংশের মানুষের বিশ্বাসের সম্মান করেনি। কিন্তু যার জন্ম ত্রিপুরা রাজ্যের মাটিতে হয়নি, গুজরাটে হয়েছে তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষকে সম্মান জানাতে মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির উদ্বোধন করে পুজো দিতে আসছেন। প্রতিবাদ জনসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, বিজেপির শহর সদর জেলার সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য, ৯ বনমালীপুর মন্ডলের সভাপতি অরিন্দম চৌধুরী সহ ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যান্য কার্যকর্তারা। এদিন এই প্রতিবাদ জনসভায় আসন্ন শারদ উৎসব এবং দীপাবলি উপলক্ষে এক হাজার মায়েদের ও কার্যকর্তাদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেন উপস্থিত অতিথিরা।

