স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ আগস্ট : শুক্রবার সারা রাজ্যে যথাযথ মর্যাদার সাথে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের ১১৪ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন হয়। এদিন সকালে মহারাজা বীর বিক্রম ওয়েলফেয়ার সোসাইটি পক্ষ থেকে পর্যন্ত উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদে অনুষ্ঠিত হয় মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের জন্ম জয়ন্তী।
মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরে মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাশাপাশি মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যকে উৎসর্গ করে কেক কাটা হয়। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রজ্ঞা দেববর্মন। পরে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের সামনে থেকে একটি মিছিল সংগঠিত করা হয়। মিছিলটি শহরে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।
প্রদেশ বিজেপির উদ্যোগে শুক্রবার রাজন্য শাসিত ত্রিপুরার ১৮৪ তম রাজা শেষ রাজা মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের জন্ম জয়ন্তী উদযাপন করা হয়। এই উপলক্ষ্যে এদিন প্রদেশ বিজেপির কার্যালয়ে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রদেশ সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার সংগঠন মন্ত্রী ফনিন্দ্র নাথ শর্মা, সাংসদ রেবতী কুমার ত্রিপুরা, সহ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, সহ সভানেত্রী পাতাল কন্যা জমাতিয়া সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর প্রদেশ সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর। তাঁর সময়ে যে ধরনের উন্নয়ন রাজ্য জুড়ে হয়েছে তা অকল্পনীয়। এতকাল যারা ত্রিপুরায় ক্ষমতায় ছিল তারা রাজন্য শাসিত ত্রিপুরার ইতিহাস ও মহারাজাদের পরিবারকে কোন ঠাসা করে রেখেছিল। সেই জায়গায় দাড়িয়ে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাদের স্মরণ করার কাজ করেছে। মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের আমলে ত্রিপুরায় বিমানবন্দর স্থাপন করা হয়েছে। মহারাজাদের যোগ্য সম্মান দেওয়ার কাজ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এতকাল জন জাতিদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি হত। কুম্ভীরাশ্রু ফেলত পূর্বতন ক্ষমতা সুরীরা। বর্তমান সরকার জনজাতিদের স্বার্থে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যথাযথ মর্যাদার সাথে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। এদিন মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। তিনি বলেন প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দিনটি যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা হয়। কংগ্রেস মনে করে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর ত্রিপুরা রাজ্যের রূপকার ছিলেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি সহ রাজ্যের বিকাশের ক্ষেত্রে বড় উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে তিনি রাজ্যে বহু স্কুল এবং মহাবিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। পাশাপাশি হাসপাতাল নির্মাণ করেছিলেন তিনি। যাতে রাজ্যের মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা সঠিকভাবে পায়। তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক ছিলেন। মহারাজার অবদান রাজ্যবাসী কখনো ভুলবে না। এবং মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের আমলে বাংলা ভাষা রাজ ভাষা হিসেবে স্বীকৃত পেয়েছিল। এমনকি জাতি জনজাতিদের মেলবন্ধনের জন্য তিনি সেতু হিসেবে কাজ করেছিলেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এদিন মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে গিয়ে মহারাজের বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের মর্মর মূর্তিতে মাল্যদান করেন প্রাক্তন বিধায়ক আশিষ কুমার সাহা সহ অন্যান্য কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। আশীষ কুমার সাহা জানান আজকের দিনটা এক ঐতিহাসিক দিন।