স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ আগস্ট : প্রকৃত শ্রমিকদের মজুরি প্রদান করা, বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের সমস্যা সমাধান করা, গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা সংস্কার করা, শিক্ষক স্বল্পতা দূর করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং প্রকৃত গরিবদের সামাজিক ভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সহ স্থানীয় কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে বামফ্রন্টের পরিষদীয় দল জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেছিল। জেলাশাসক সে সমস্ত দপ্তর গুলির সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন। বৃহস্পতিবার সিপিআইএম রাজ্য কার্যালয় সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলের সদস্য তথা বিধায়ক রতন ভৌমিক।
তিনি বলেন, গত ২০ জুন পশ্চিম জেলা শাসকের কাছে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, উপনেতা বাদল চৌধুরী, তপন চক্রবর্তী, শহীদ চৌধুরী, বিধায়ক সুধন দাস, ভানু লাল সাহা, যসবীর ত্রিপুরা, নির্মল বিশ্বাস, রতন ভৌমিক এবং প্রভাত চৌধুরী পশ্চিম জেলা কিছু সমস্যা সমাধানের দাবিতে যান। বৃহস্পতিবার পুনরায় বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলের শহীদ চৌধুরী, ভানু লাল সাহা, নারায়ন কর এবং রতন ভৌমিক জেলা শাসকের কাছে গিয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে সে বিষয়ে অবগত হন। জেলা শাসক জানিয়েছেন সমস্যা গুলি সমাধানের জন্য অধিকাংশ দপ্তরের সাথে কথা বলেছেন। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো প্রকৃত রেগার শ্রমিকরা মজুরি পান না। কারণ বহু অসাধু শ্রমিক প্রকৃত রেগা শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়টা তিনি ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারদের নজরে নিয়েছেন। বিশেষ করে কাজের ক্ষেত্রে যাতে যন্ত্র ব্যবহার না করা হয় সেদিক ও নজর রাখবে।
এখন পর্যন্ত যন্ত্র ব্যবহারে কোন অভিযোগ পান নেই বলেও জানান তিনি। এমনকি বহু শ্রমকের রেগা কার্ড থাকার পরেও রেগার কাজ পাচ্ছে না। এ বিষয়ে মণ্ডলের নেতৃত্বদের রক্ত চক্ষুর ভয়ে কেউ অভিযোগ জানাতে পারছে না। জেলা শাসক আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি যাতে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার বা জেলা শাসকের নজরে নেওয়া হয়। গ্রামের রাস্তাগুলির অবস্থা বেহাল। যানবাহন এবং পথচারীদের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তাগুলি। রাস্তাগুলো সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। কিন্তু সংস্কারের জন্য যে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তা জেলা শাসক স্বীকার করেছেন। বিষয়টি পূর্ত দপ্তরে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে জানান। পানীয় জল ঘরে ঘরে পৌঁছানোর জন্য সোসের ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করতে বলা হয়েছে। কিন্তু জেলা শাসক বলেছে বেসরকারি সংস্থাগুলি সঠিকভাবে কাজ করছে না। তিনি এ বিষয় নিয়ে বিদ্যুৎ নিগমের সাথে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পাশাপাশি শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলে জানেন জেলাশাসক। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো নথিপত্রের অভাবে বহু সামাজিক ভাতা বাতিল করা হয়েছে। এর পেছনে মূলত মণ্ডলের নেতারা জড়িত। এ বিষয়ে জেলাশাসককে বলা হলে তিনি আশ্বস্ত করেন বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। ভাতা সমস্যার সমাধানের জন্য প্রবীণ যাতে অফিসে না আসতে হয় সেদিকে নজর দিয়ে অফিসের যাতে না এসে সামাজিক ভাতা সুযোগ পেতে পারে সে বিষয়টা দেখার জন্য সমাজকল্যাণ দপ্তরকে বলা হয়েছে। এদিন আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ভানুলাল সাহা, শহীদ চৌধুরী।