স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ আগস্ট : বেনিফিশিয়ারিরা ঋণ পরিশোধ করলে ওবিসি ওয়েলফেয়ার গরিবদের ঋণ পরিশোধ করবে। এর জন্য সুদের অর্থ থেকে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে ঋণ শোধ করবে তাদের জন্য এই সুযোগ। বৃহস্পতিবার মহাকরণে ও বি সি – ও সংখ্যালঘু ওয়েলফেয়ার কাজকর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে ঋণ পরিশোধ করার বিষয়ে বলতে গিয়ে এই কথা জানান দপ্তরের সচিব তাপস রায়। রাজ্যে ৫ ধরনের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন।
এদের মধ্যে রয়েছে মুসলিম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি। তাদের জন্য সংখ্যা লঘু দপ্তর কাজ করে চলেছে। তবে রাজ্যে পার্সি সম্প্রদায়ের কোন মানুষ নেই। প্রি মেট্রিক, পোষ্ট মেট্রিক স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত ভাবে। জাতীয় পোর্টালের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করে তারা এই স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন। ওয়াক অফ বোর্ড থেকেও মুসলিমদের জন্য পৃথক ভাবে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন ওবিসি ৪২ টি সম্প্রদায় রয়েছে। গত তিন বছরে ২৮১ জনকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। বিদ্যাসাগর সোশ্যাল কালচারাল অ্যাওয়ার্ড ২০১৯-২০ -তে দুজনকে দেওয়া হয়েছে, ২০২০-২১ সালে দেওয়া হয়েছে তিনজনকে। রানীবাজার এলাকায় রাস্তার পাশে শোচালয় নির্মাণ করতে ৪ লক্ষ্য ৫৬ হাজার টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এর জন্য অনুমোদন পাওয়া গেছে। প্রথম ধাপে ২ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। সেই টাকা মহকুমা শাসকের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। সহসাই এর কাজ শুরু হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি এবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে যারা স্ট্যান্ড করেছে তাদের মধ্যে থেকে যারা ওবিসি সম্প্রদায় রয়েছে তাদের ৬০০০ টাকার একটি স্বর্ণ পদক সহ ১৯ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ সালে আটজনকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
২০২০-২১ সালে কুড়িজনকে স্বর্ণপদক দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। ২০২১-২২ সাড়ে ১১ জনকে স্বর্ণপদক দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। মোট ৩৯ জনকে এই সংবর্ধনের আওতায় আনা হয়। বি আর আম্বেদকর অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে ওবিসি সম্প্রদায়ের ৬০ শতাংশ প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের। এর মধ্যে ২০১৯-২০, ২১, ২২ সালে ৯,৪৮৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এর জন্য বের হয়েছে ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা বলে জানান। তবে তিনি এই দিন আক্ষেপের সুরে বলেন স্বাবলম্বীণ হওয়ার জন্য যে ঋণ দপ্তর প্রদান করছিল, কিন্তু এখন ঋণ পরিশোধ করছে না তাদের একালীন ছাড় দেওয়া হয়েছে। অক্টোবর মাসের মধ্যে যদি তারা ঋণ পরিশোধ করে তাহলে ৬ শতাংশ টাকার সুদ থেকে ২০ শতাংশ টাকা ছাড় দেওয়া হবে। তাহলে সেই টাকা দিয়ে গরিবদের পুনরায় ঋণ প্রদান করা যাবে বলে জানান অধিকর্তা।