Saturday, March 15, 2025
বাড়িরাজ্যফাইল চুরির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দিয়ে সুষ্ঠু তদন্তে দাবি কংগ্রেসের

ফাইল চুরির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দিয়ে সুষ্ঠু তদন্তে দাবি কংগ্রেসের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ আগস্ট : আজাদী কা অমৃত মহোৎসবে বিজেপি’র মন্ত্রীরা নিজেদের ফ্ল্যাক্স ছাপিয়েছে, স্বাধীনতার সংগ্রামীদের প্রতি কোন শ্রদ্ধা নিবেদন করেনি বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন, ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে সারা রাজ্যের জুড়ে বিভিন্ন পোস্টার দেখা গেলেও কোন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি দেখা যায় না। আসলে এই সরকারের ভাবনা চিন্তার মধ্যে সেওলা পড়েছে।

 এ সরকার যদি মহাকরণে ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করে পতাকা উত্তোলন করতে পারে তাহলে তাদের কাছে কি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি ছাপানোর জন্য ১৭ হাজার টাকা ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন সুদীপ রায় বর্মন। আরো বলেন, এত টাকা ব্যয় করা হয়েছে কিন্তু এদিন জনগণের জন্য চাইলে কিছু করতে পারত বিজেপি। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর আবাসনের বিপরীত পাশে উমাকান্ত স্কুলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মর্মর মূর্তিতে যে মালাটি রয়েছে তা শুকিয়ে গেছে, এটা স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষে পরিবর্তন করা প্রয়োজন ছিল। কারণ এটা রবীন্দ্রনাথের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন। এবং রাজবাড়ীর সাউথ গেট এলাকায় মাস্টারদা সূর্য্য সেন ও ক্ষুদিরাম বসুর ছবিতে পচা মালা দেওয়া রয়েছে, এবং উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের ভেতরে ড. বি আর আম্বেদকরের মালার একই অবস্থা। তাহলে এই অমৃত কাদের জন্য বলে প্রশ্ন তুলেন তিনি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে সমালোচনা করে বলেন, সেদিনও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী ফ্লেক্স প্রচুর পরিমাণে ছাপানো হয়েছে। এগুলির মধ্যে অধিকাংশই ছিল ইংরেজি ভাষায় লাগানো ফ্লেক্স। তবে কিছু বাংলা ভাষায় ফ্লেক্স লাগানো হলেও ককবরক ভাষায় কোন ফ্লেক্স লাগানো ছিল না। এমনকি খুমুলুঙে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয় নি। কিন্তু রাজ্যে একাধিক তিপ্রাসা মন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী থাকার পরেও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান সুদীপ রায় বর্মন। বক্তৃতা দিয়েই অমৃত রস পার করছেন মন্ত্রীরা। সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হলো আসাম রাইফেল ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী যে ঘোষণা গুলি দিয়েছেন, সেগুলি আগেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নতুন কোনো ঘোষণা বা প্রকল্প এদিন রাজ্যবাসী শুনতে পায় নি বলে জানান তিনি।

এমনকি ১৫ আগস্ট পুলিশের সদর কার্যালয়ে থেকে ফাইল চুরির ঘটনার খবর উঠে এসেছে। এতে আজাদী যে মিথ্যা তা প্রমাণ হয়ে গেছে। এতে আবারো স্পষ্ট হয়ে গেছে ফাইল গুলি চুরি হয়নি, সবগুলি ফাইল সরানো হয়েছে। যার চুরি হয়েছে বলে আখ্যায়িত করছে সরকার। পুলিশের সদর কার্যালয়ে ফাইল চুরি করতে রাস্তার চোর যাবে চুরি করতে, এই আষাঢ়ের গল্প কাদের শোনাচ্ছে সরকার। আসলে ভয়ে সে ফাইলের গুলি লোপাট করেছে এখানকার লোকেরাই, তার সুষ্ঠ তদন্ত হলে স্পষ্ট হয়ে যাবে। কংগ্রেস দাবি জানায় বিষয়টি হাইকোর্টের একজন বিচারপতি দিয়ে জুডিশিয়াল তদন্ত করার জন্য। সারা দেশে এভাবে লুট পাট চলছে। মানুষকে শোষণ করে বলছে দুর্নীতি মুক্ত করার আওয়াজ তুলছে। এর তীব্র নিন্দা জানায় কংগ্রেস বলে জানান তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য