স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ আগস্ট : দুর্গা বাড়িতে রীতি মেনে বুধবার মনসা দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকালে দূর্গা বাড়িতে পূজা দিয়ে রাজ্যের মঙ্গল কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এবং দুর্গা বাড়িতে মনসা দেবীর পূজা দিয়ে ভক্তি ভরে রাজ্যকে সমৃদ্ধশালী করার প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে এক সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী জানান দুর্গা বাড়িতে এইদিন দেবী মনসার পূজা দিয়ে প্রার্থনা করেছেন। রাজ্য বাসীর মঙ্গল কামনা করেছেন।
সকলে যেন সুস্থ ও সবল থাকে এবং আগামিদিনে শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার জন্য সকলে যেন এগিয়ে আসে তার জন্য প্রার্থনা করেছেন। উল্লেখ্য, এদিন ঘরে ঘরে পূজিত হয় দেবী মনসা। শ্রাবণ মাসে নাগ পঞ্চমীও পালিত হয় মনসা পূজা। সারাদিন উপবাস থেকে ব্রত করে ভক্তেরা দুধ দিয়ে দেবী মনসার পুজো করেন এদিন। কথিত রয়েছে মনসার কৃপায় সংসারে শান্তি ও শ্রীবৃদ্ধি হয়। পূরাণ অনুযায়ী মহাদেবের মানস কন্যা হলেন মা মনসা। সর্পের দেবী হিসেবে যুগ যুগ ধরে মা মনসা পূজিত হচ্ছেন ভক্তদের কাছে। শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে মা মনসার পুজো হয়। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মা মনসা পূজিত হন বৃক্ষের ডালে। কোথাও সাপের ছবি আঁকা ঘট কিংবা ঝাঁপিতেও পুজো করা হয়। তবে বাড়ির ঘরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মা মনসার মূর্তি পুজোও করা হয়। বিশুদ্ধ আচারে দেবীর পুজো করেন ভক্তেরা।
বিশেষ করে বর্ষাকালে সাপের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। তাই এই সময় সাপের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যও দেবী মনসাকে পূজা করে সন্তুষ্ট করা হয়। আগে এই দিনে অনেক জায়গায় পশু বলিও দেওয়া হত। কিন্তু আজ পশু বলির সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। কোথাও পুরোহিত দ্বারা মনসা পুজো করা হয়। কোথাও আবার বাড়ির লোকেরাই দেবী মনসার পুজো করেন। বহু নারী এইদিন সন্তান লাভের কামনায় দেবীর আরাধনা করেন। বুধবার সকাল থেকে রাজ্যে অলিগলিতে মনসা পূজায় অংশ নিতে দেখা যায় ভক্তদের। আর মনসা পূজা থেকেই সনাতন ধর্মের পূজা পার্বণ শুরু বলা চলে।