স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ আগস্ট : বক্সনগর দক্ষিণ কলমচৌড়া এগিয়ে চলো সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে ভারত মাতার পূজা রবিবার খুব জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।এই পূজা উপলক্ষে রবিবার দুপুর এক ঘটিকার সময় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব উপস্থিত হন।তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সম্পাদক জসিম উদ্দীন, ভারতীয় জনতা পার্টি সিপাহীজলা দক্ষিণ জেলা কমিটির সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্য,সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন,বক্সনগর মণ্ডল সভাপতি সুভাষচন্দ্র সাহা আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ করে এগিয়ে চলো সংঘ ক্লাবের মহিলাদের উদ্যোগে ভারত মায়ের পূজার সমস্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।প্রথমে অতিথিদের মঞ্চে উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করেন।তারপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক বিপ্লব কুমার দেব বক্সনগর মন্ডলের সমস্ত কার্য কর্তাদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব ও মতবিনিময় করেন। তারপর পূজা স্থলের সন্নিকটে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী শক্তি কেন্দ্রের পার্টি অফিসে শক্তি কেন্দ্রের কার্য কর্তাদের সঙ্গে বক্সনগর মন্ডলের হাল-হকিকত সম্পর্কে জানেন। তারপর বিপ্লব কুমার দেব সরাসরি চলে যান ভারত মাতা পূজা যজ্ঞ অনুষ্ঠানে,যজ্ঞ করার জন্য।পূজা শেষে তিনি অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে পূজার মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন।পূজার প্রসাদ গ্রহণ করে শেষে সকল পুণ্যার্থীদের তিনি নিজেই প্রসাদ পরিবেশন করে খাওয়ান। এই পূজা পর্বের শেষে চলে যান সিপাহীজলা দক্ষিণ জেলার সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্যের বাড়িতে।সেখানে গিয়ে তিনি ভারী কোন খাবার না খেলেও কেবলমাত্র লেবুর শরবত খেয়ে চলে আসেন।
তারপর তিনি চলে যান বক্সনগর যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি জিমুল হকের বাড়িতে।যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে কিছুটা সময় ব্যয় করে তিনি চলে যান বক্সনগর বহু পুরানো ঐতিহাসিক বৌদ্ধস্তূপ উদ্যানে।কেন্দ্রীয় সরকারের আর্কিওলজিক্যাল দপ্তরের আওতাধীন থাকা সমস্ত বৌদ্ধস্তূপ এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করেন এবং স্মৃতি হিসাবেই কিছু ছবি তুলে নেন।জানা যায় ভারতমাতা যজ্ঞ অনুষ্ঠান থেকে প্রস্থানের পর রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন।বক্সনগর বাসির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন,বক্সনগর একটি সংখ্যালঘু মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা।এখানে বিবিধের মাঝে মিলন রয়েছে। কারণ আজ এই ভারত মায়ের পূজা অনুষ্ঠানে মুসলিম সংখ্যালঘুদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।এতে বক্সনগরে শান্তি সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।আর এই সরকারের আমলে রাজ্যের শান্তি সম্প্রীতি বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বে বাম সরকারের আমলে চীন ও রাশিয়ার কথা বলতেন রাজ্যের মানুষ।আজ ভারত মাতার সম্মান দিয়ে পূজা করে থাকেন।জন্মভূমি থেকে একটু দূরে গেলে দেখবেন জন্মভূমির প্রতি কত মায়া লেগে যায়। তাই আমরা ভারত মায়ের পূজা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শান্তি সম্প্রীতি ও ভারতের সম্মান এবং ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা আনার জন্য যারা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা আরো বেশি করে জাগ্রত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।অপর দিকে অনেকের মুখে আবার শোনা যায় হঠাৎ করে কোথায় থেকে আবার ভেসে উঠল এই মহামান্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।গত ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের পর আর দেখা যায়নি তাকে বক্সনগর বিধানসভা এলাকায়।আজকে হটাৎ করে আসাকে ঘিরে নিজ দলীয় কর্মীদের মধ্য ক্ষোভ দেখা যায়।তিনি এসে মুখ্যমন্ত্রীর পদ হারিয়ে এক প্রকার উন্মাদের মত চাল চলন করতেও দেখা যায়।তার সামনে যাকে দেখতে পায় তাকেই নাম জিজ্ঞাসা সহ বিভিন্ন কথাবার্তা।তার নিজের প্রশংসা নিজেই করেন।এটা তিনি করেছেন ওটা তিনি করেছেন এমনটা কর্মীদের সামনে বলে বেড়ায়।আগে তার যতটা জনপ্রিয়তা ছিল ঐদিন ততটা লক্ষ্য করা যায়নি।