Friday, March 29, 2024
বাড়িরাজ্যকর্মস্থলে যোগদান করতে গিয়ে হতাশ ১০,৩২৩

কর্মস্থলে যোগদান করতে গিয়ে হতাশ ১০,৩২৩

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ আগস্ট :  বহু আন্দোলনের পর শেষ পর্যন্ত শুক্রবার কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলেন ১০,৩২৩ -এর শিক্ষক শিক্ষিকারা। কিন্তু বাড়ি ফিরলেন হতাশ হয়ে। এদিন আগরতলা শহরে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকারা কর্মস্থলে যোগদান করতে যান। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের পর থেকে আর স্কুল মুখী হয়নি ১০৩২৩ এর শিক্ষক শিক্ষিকারা। এরই মধ্যে সুপ্রীম কোর্টে একটি আর টি আই করে ১০,৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ।

তারা দাবি করেন আর টি আই-র মাধ্যমে জানতে পারেন ১০,৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকারা সকলে পূর্বতন মামলার পক্ষ ভুক্ত ছিলেন না। কেবল মাত্র কিছু শিক্ষক শিক্ষিকা এই মামলার পক্ষ ভুক্ত ছিলেন। যে কারনে তাদের চাকুরিচ্যুতির নির্দেশ দেয়নি সুপ্রীম কোর্ট। অথচ শিক্ষা দপ্তর তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়েই স্কুল আসতে নিষেধ করেন। দেওয়া হয়নি টার্মিনেশন লেটার। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেন ১০৩২৩ –র যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা এই মামলার পক্ষ ভুক্ত নন তারা এদিন থেকে নিজ নিজ স্কুলে গিয়ে কাজে যোগ দেবেন। সেই মোতাবেক এদিন নিজ নিজ স্কুলে যান ১০৩২৩-র শিক্ষক শিক্ষিকারা। কিন্তু স্কুলে গিয়ে বেকাদায় পড়তে হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।

১০,৩২৩ -এর মধ্যে বিজয় কৃষ্ণ নামে একজনের অভিযোগ স্কুলে যাওয়ার পর প্রধান শিক্ষকরা তাদের জানিয়ে দেন দপ্তরের অধিকর্তা কাছ থেকে নির্দেশ রয়েছে যাতে জয়নিং লেটার রিসিভ না করার জন্য। পরবর্তী সময় তারা প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চান দপ্তরের অধিকর্তার কোন লিখিত বিবৃতি রয়েছে কিনা। তখন প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় লিখিতভাবে কোন বিবৃতি না দিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দপ্তরের অধিকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষকদের। তারপর প্রধান শিক্ষকের কাছে টার্মিনেশন লেটার চায় ১০,৩২৩ এর শিক্ষক শিক্ষিকারা। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় কোন টার্মিনেশন লেটার নেই স্কুলে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেভাবেই প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য বলে জানিয়ে দেওয়া হয় ১০,৩২৩ -এর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। ফলে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেন ১০৩২৩ -এর শিক্ষক শিক্ষিকারা।

এদিকে শহরে কিছু স্কুলে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারি প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিত প্রত্যক্ষ করা যায়। স্কুলের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক না থাকায় তারা কাজ শুরু করতে পারছেন না। এই চিত্র উঠে আসে রাজধানীর তুলসীবতি বালিকা বিদ্যালয়ে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য