স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ আগস্ট : ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। রাষ্ট্রসংঘ ১৯৯৪ সালে আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে পালন করার জন্য প্রস্তাব পাস হয়। তারপর থেকে দিনটি সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। দেশে আদিবাসী অধিকার রাষ্ট্রীয় মঞ্চের পক্ষ থেকে আদিবাসী অধিকার দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে গণমুক্তি পরিষদ
। গণমুক্তি পরিষদের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার আগরতলা শহরে একটি মিছিল সংগঠিত করা হয়। গণমুক্তি পরিষদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধিকার দিবস উদযাপনের পর ৫ দফা দাবি সনদের প্রতিলিপি রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে প্রেরণ করার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি গুলি হল সংবিধানের ১২৫ তম সংশোধনী বিল পাশ করা হয়। এডিসি এলাকায় আর্থিক এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য এপ্রিল পাস করার দাবি জানানো হয় এদিন। এর সাথে ককবরক ভাষাকে অষ্টম তপশিলি ভাষার অন্তর্ভুক্ত করা সহ-শূন্য পথ পূরণ করার দাবি জানানো হয়। মিছিলের পর রাজধানীর সিটি সেন্টারের সামনে একটি সভা সংগঠিত করা হয়। সভায় ত্রিপুরা উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের রাজ্য সভাপতি জিতেন্দ্র চৌধুরী বক্তব্য রেখে বলেন,
দেশ স্বাধীন হওয়ার ক্ষেত্রে আদিবাসীদের গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম সাঁওতাল বিদ্রোহ গড়ে তুলেছিল আদিবাসীরা। সুতরাং আদিবাসীদেরাই দেশ স্বাধীন করার জন্য প্রথম রক্ত দিয়ে বুক চিতিয়ে ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তাদের জন্য দেশে কি অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলুন জিতেন চৌধুরী। আরো বলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি তাদের ভূমিকা থাকার পরও তারা আজ সবচেয়ে বেশি দারিদ্রের স্থানে রয়েছে। তারা শুধু দারিদ্র্যের দিকে নয়, অপুষ্টির দিকে সবচেয়ে বেশি ভুগছে আদিবাসীরা। এমনকি সামাজিকভাবে সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছে আদিবাসী অংশের মানুষ। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সবচেয়ে বেশি নির্মম অত্যাচার চলছে। আর বর্তমান সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি অভাবেও রয়েছে আদিবাসী অংশের মানুষ। আর কেন্দ্রীয় সরকার পুঁজিপতিদের জন্য কোটি কোটি টাকা বিলিয়ে দিচ্ছে। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য কোন কিছু করার চেষ্টা করছে না। এমনকি ত্রিপুরা রাজ্যের আদিবাসী মানুষ গত সাড়ে চার বছরে বঞ্চিত। ভীষণ ডকুমেন্ট পালন করতে না পারার কারণে ত্রিপুরা রাজ্যের গ্রামগঞ্জের বেকাররা কর্মসংস্থানের অভাবে ভুগছে। ফলে হতাশায় তারা নেশার দিকে ঝুঁকছে। সুতরাং নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে জানান তিনি। তাই আদিবাসীদের ভাষা সংস্কৃতি এবং অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সঙ্ঘবদ্ধভাবে দাবি তুলতে হবে বলে জানান শ্রী চৌধুরী। আয়োজিত সভায় এদিন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।