স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ আগস্ট : শিষ্যের কেন্দ্রে গুরু ঝড় তোলার আগেই মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে গেরুয়া সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। গেরুয়া সন্ত্রাসে আক্রান্ত হচ্ছে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের অনুগামী সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা। এলাকার বহু বিজেপি কর্মী সুশান্ত চৌধুরীকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করতে ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। শিষ্য সুশান্ত চৌধুরী গুরু সুদীপ রায় বর্মনের এত বড় আক্রমণ সহ্য করতে পারবে না বলেই ইতিমধ্যে ইন্ধন দিয়ে সন্ত্রাস শুরু করেছে বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের। তাই এবার গুরুকে দমন করতে শুরু হয়েছে বাইক বাহিনী দিয়ে গেরুয়া সন্ত্রাস।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় শাসক দলের বাইক বাহিনীর সন্ত্রাস শুরু হয়। আক্রান্ত হয় কংগ্রেস এবং সিপিআইএম সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের বহু কর্মী সমর্থক। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয় সুধীর দাস নামে এক কংগ্রেস কর্মী। বয়স ৭৩ বছর। বাড়ি জিরানিয়া নলগড়া এলাকায়। এদিন রাতের বেলা শাসক দলের দুর্বৃত্তরা সুধীর দাসের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজনেরা এদিন প্রথমে রানী বাজার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেফার করেন জিবি হাসপাতালে। বর্তমানে জিবি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জিবি হাসপাতালে ছুটে যান বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, কংগ্রেসের সম্পাদিকা জারিতা লাইফ্রাং, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোপাল রায় সহ অন্যান্য কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। আহত সুধীর দাসের শারীরিক অবস্থা খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখন ভারত ছাড়ো আন্দোলনের দিনটি এবং ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে, তখন এই মুহূর্তে অমৃত মহোৎসবের নমুনা দেখা গেল মন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে। কিন্তু বর্বরতার একটা সীমা রয়েছে। সুধীর দাসকে যারা শারীরিকভাবে আক্রান্ত করেছেন তারা উনার নাতির চেয়েও ছোট হবে। আক্রমণের মূলত কারণ হলো মঙ্গলবার জিরানিয়াতে কংগ্রেসের একটি পদযাত্রা ছিল। কিন্তু পুলিশ বিজেপি অনুষ্ঠান রয়েছে বলে অজুহাত দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি। তাই প্রাণে মারার চেষ্টা করে এই ধরনের আক্রমণ সংগঠিত করেছে বলে অভিযোগ তুলেন শ্রী বর্মন। পুলিশ সব কিছু জেনেও ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত পর্যন্ত করছে না। এটাই আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি বলে মনে হয় বলে জানান তিনি। শাসক দল বিজেপির এ ধরনের আক্রমণের ঘটনা অত্যন্ত জঘন্যতম। তাই মানুষের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে কেউ যাতে ভয় না পায়। খুব শীঘ্রই জিরানিয়া এলাকায় কংগ্রেস কর্মসূচি সংঘটিত করবে। এবং এই জঙ্গলের রাজত্ব থেকে রাজ্যের মানুষকে অবসান দেবে বলে আশ্বস্ত করেন সুদীপ রায় বর্মন। এদিন আক্রান্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন কংগ্রেস নেতৃত্বরা।