স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৮ সেপ্টেম্বর : সমাজের অন্তিম ব্যক্তির দোরগোড়ায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। সোমবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের অধীন ১৪ টি প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন এবং পাঁচটি প্রকল্পের শিলান্যাস করে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানের বোতাম টিপে উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, রাজ্য সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য মোট ৬১ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
যেসব প্রকল্প শিলান্যাস এবং ভিত্তিপ্রস্তর আজ স্থাপন করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জিরানিয়া এবং মোহনপুর মহকুমায় নয়টি নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নতুন ভবন। নরসিংগড় এবং অভয়নগরে চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউট করা হয়। ওয়ার্কিং ওমেন হোস্টেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে বিলোনিয়ায়, জিরানিয়া, সাব্রুম এবং আগরতলা এডি নগর ও অভয়নগর এলাকায়। পুশন অভিযানের আওতায় ১১ হাজার একশ ত্রিশটি মোবাইল ফোন বিতরণ করা হয়। ফলে শিশু ও গর্ভবতী মহিলার তথ্য সময়মতো সংগ্রহ করতে পারবে দপ্তর। একই সাথে স্বচ্ছতা আসবে। এর জন্য প্রত্যেকটি মোবাইলের জন্য ১১ হাজার ৫৮৬ টাকা করে ব্যয় হয়েছে সরকারের।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যে প্রতিশ্রুতি সব জায়গায় সকলের উন্নয়ন প্রয়োজন। এরই প্রতিফলন এটা। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৪৭ সালে বিকশিত ভারতের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছন। এর জন্য ত্রিপুরা রাজ্য এই ২০৪৭ সালে বিকশিত ত্রিপুরা গড়ার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে। এর রোড ম্যাপ ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়ে গেছে।
বর্তমান সরকারের ইনফ্রাস্ট্রাকচারের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চলেছে। এর জন্য বাজেটে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছে। কারণ সরকার যদি ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নত না করে তাহলে আগামী দিন অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মোট ১৪ টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং আরও পাঁচটি প্রকল্পের শিলান্যাস হয় এদিন। এর মধ্যে রয়েছে ১০০ আসন বিশিষ্ট কর্মজীবী মহিলাদের হোস্টেল এবং ডায়েটের জন্য ৫০ আসন বিশিষ্ট হোস্টেল, যার উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্পন্ন করেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, সচিব তাপস রায়, অধিকর্তা তপন কুমার দাস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

