স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ আগস্ট : মদমত্ত অবস্থায় চিকিৎসা করতে গিয়ে লংকা কান্ড সৃষ্টি করল এক শাসক দলের নেতা। হাসপাতালের চিকিৎসক সহ হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করে তিনি। আর বাহুবল দেখালেন শাসক দলের নাম করে। ঘটনা ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে। জানা যায়, রবিবার রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক এক রোগীকে ড্রেসিংয়ের জন্য ড্রেসিংরুমে পাঠায়। তখন শুরু হয় মদমত্ত অবস্থায় থাকা সেই ব্যক্তির উৎশৃঙ্খলতা। ড্রেসিং -এর দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী তাহির আলিকে বেধড়ক মারধর শুরু করে বলে সত্যব্রত নামে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসা নিরাপত্তারক্ষীরা সেই ব্যক্তি হাত থেকে রক্ষা পায় নি।
শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তব্য খবর দেয় ধর্মনগর থানার পুলিশকে। কিন্তু খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে শরীরে ধাক্কা দেয় বলে সত্যব্রতের বিরুদ্ধে। সত্যব্রত নামে এই ব্যক্তির বাড়ি ধর্মনগরের হাফলং এলাকার গরজনটিলা এলাকায়। সত্যব্রত আবার শাসক দলের নেতা। তাই হয়তোবা শাসকদলের ক্ষমতা দেখিয়ে চিকিৎসককে মারধর করে নিজের ক্ষমতা জাহির করতে চেয়েছিলে এদিন। তিনি বুঝে উঠতে পারেন নি এভাবে ক্ষমতার জাহির করা যায় না। এদিনের ঘটনার পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এইদিকে চিকিৎসককে মারধর করায় চিকিৎসকের পক্ষ থেকে ধর্মনগর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে শাসকদলের দাপট দেখিয়ে যদি চিকিৎসককে পেটানো হয় তাহলে রাজ্যের আপামর জনগণের নিরাপত্তা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে হাসপাতাল চত্বরে।