স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ আগস্ট : ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের প্রাকলগ্নে বড়সড় সাফল্য রাজ্য পুলিশের। আত্মসমর্পণ করল চার এন এল এফ টি জঙ্গি সহ দুই সহযোগী। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র। জানা যায়, গত ২১ জুলাই এন এল এফ টি চার জঙ্গী সহ ২ সহযোগী ধোলাই জেলার গঙ্গানগর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় প্রবেশ করে এবং তারা রাজ্যে অশান্তির পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পরিকল্পনা নিয়ে গঙ্গানগর, মুঙ্গিয়াকামী, অম্পি এবং কিল্লা জঙ্গল দিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্যন্দন পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হয়। তারপর শুরু হয় প্রশাসনের দৌড় ঝাপ।
রাজ্য পুলিশ টি এস আর এবং কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী সহযোগিতা নিয়ে শুরু করে চিরুনি তল্লাশি। অবশেষে ১৪ দিনের মাথায় জঙ্গি দলটি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় এ কে ৫৬ একটি রাইফেল এবং দুটি ম্যাগাজিন, এম ২০ পিস্তল একটি এবং পাঁচ রাউন্ড ম্যাগাজিন, ৩৮ পিস্তল একটি এবং এক রাউন্ড ম্যাগাজিন সহ একটি নোট বই। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় চাঁদা তোলার রশিদ। পুলিশ সূত্রে জানা যায় তারা গত কয়েকদিন ধরে ধলাই জেলার পর বড়মুড়ার জঙ্গল পথে ঘোরাফেরা করছিল।
এবং তারা আর্থিক সংকটে ভুগছিল। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা জওয়ানদের চাপে পড়ে তাদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। ফলে তারা আত্মসমর্পণ করার পথ বেছে নেয়। আত্মসমর্পণকারীদের নাম উমেশ কলই(৪২), বাড়ি গোমতি জেলা অম্পি থানাধীন চিনাইবাড়ি, ফনীজয় রিয়াং(৩৯), বাড়ির ধোলাই জেলার মানিকপুরে, ভিক্টর জমাতিয়া(৪৭), বাড়ি গোমতি জেলার কিল্লায়, উত্তম কুমার জমাতিয়া(৪২), বাড়ি কিল্লা খুমপুই লং এলাকায়। এবং দুই সহযোগী সূর্য কিশোর জমাতিয়া(৬০), বাড়ি গোমতী জেলার বীরগঞ্জে ও অপর সহযোগী বজেন্দ্র রিয়াং(৬০), বাড়ি খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া নবজয় পাড়ায়। পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে বাংলাদেশে এন এল এফ টি ঘাঁটিতে আর্থিক সংকট এবং দুরবস্থা চলার দরুণ এই ধরনের নাশকতার ছক কষে ছিল জঙ্গি সংগঠন। আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের সাথে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা এবং আর কেউ রাজ্যে প্রবেশ করেছে কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।