Wednesday, March 19, 2025
বাড়িরাজ্যকয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক নিয়ে কংগ্রেসের রাজভবন অভিযান

কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক নিয়ে কংগ্রেসের রাজভবন অভিযান

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ আগস্ট : আচ্ছে দিনের ফেরিওয়ালা মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। দেশবাসীকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল রান্নার গ্যাস পেট্রোল ডিজেলের মূল্য হ্রাস করা হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকারের আট বছরে রাজত্বকালে দেখা গেছে পেট্রোল-ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্মসংস্থানের জন্য বেকাররা ব্যাংকে গিয়ে ঋণ পাচ্ছে না।

 এবং দু’কোটি চাকুরীর যে প্রতিশ্রুতি ছিল তা বাস্তবায়িত হয় নি। বেকাররা হতাশাগ্রস্ত হয়ে বিপথে পরিচালিত হচ্ছে। নেশায় ডুবে যাচ্ছে যুবসমাজ। তাই এ সরকারের বিরুদ্ধে আর চুপ করে বসে থাকা যাবে না, আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুক্রবার রাজভবন অভিযানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বললেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বলেন ইউপিএ সরকারের আমলে দেশে ২৭ কোটি মানুষকে দারীদ্র সীমার উপরে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের আট বছরের রাজত্বকালে ২০২১ সালের এনডিএ রিপোর্ট অনুযায়ী ২৩ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে গেছে। আর একের পর এক জি এস টি বসিয়ে মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলে দারিদ্র্য সীমার নিচে মানুষ দিনে এক বেলা ও খেতে পারছে না। আর বেরোজগারি দিন দিন মাথা ছাড়া দিচ্ছে। আজ সরকার ধনীদের স্বার্থে কোটি কোটি টাকা মুকুব করে দিচ্ছে। ধনীদের টাকা না পাইয়ে দিয়ে, যদি কৃষকদের ঋণ মুকুব করে দিত তাহলে কৃষকরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিত না। দেশের উন্নয়ন হতো। দেশবাসী এই সরকারের আমলে দিশেহারা হয়ে গেছে। আর এই অভিযোগগুলি তুলে ধরলে বিরোধী দলের নেতৃত্বদের পেছনে মিথ্যা মামলা সাজানো হচ্ছে। তাই কংগ্রেস আন্দোলন শুরু করেছে বলে জানান তিনি। তিনি আগে বলেন এই বিজেপি সরকার ঘৃন্য রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছে। দেশবাসী এখন বুঝে গেছে মানুষকে নিয়ে আন্দোলন করে এগিয়ে যেতে হবে। আর কংগ্রেস দেশবাসীকে নিয়ে আন্দোলন সংগঠিত করে এর থেকে মুক্তি দেবে বলে জানান তিনি।

এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, সারা ভারতের কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এদিন রাজভবন অভিযান সংঘটিত করা হয়। রাজ্যের সবকটি জেলায় এই আইন অমান্য আন্দোলন সংঘটিত করা হয়। এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আর এ বিষয়ে মুখ খুললে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের পেছনে দেশের স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থাগুলি দিয়ে করা হচ্ছে। তাই এর প্রতিবাদে আইন অমান্য আন্দোলন সংগঠিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। আরো বলেন আগামী ৮ আগস্ট থেকে কংগ্রেস ভারত জোড়ো আন্দোলন সংগঠিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কংগ্রেসের এই আন্দোলন ঠেকাতে রাজ্য সরকার প্রশাসনিকভাবে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। কিন্তু এর কাছে মাথা নত করবে না প্রদেশ কংগ্রেস বলেজানান তিনি। এদিন রাজভবন অভিযানটি প্রদেশ কংগ্রেস ভবন থেকে শুরু হয়। মিছিলটি সার্কিট হাউস সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছাতেই পুলিশ বেরিকেট দেয়। দুটি বেরিকেড ভেঙে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা এগিয়ে যায়। কিন্তু তৃতীয় বেরিকেড সময় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের। এদিন রাজভবন অভিযানে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা সহ কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য