স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ আগস্ট : গোটা রাজ্যে শিক্ষক-স্বল্পতা চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে ব্যাঘাত ঘটছে পড়াশোনায়। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে গিয়ে ক্লাস রুমে বসে থাকছে, কোন শিক্ষকের দেখা মিলছে না। হাতে গোনা দু তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকা দিয়ে চলছে স্কুলের পঠন পাঠন। এমনটাই প্রত্যক্ষ করা গেল বুধবার রাজধানীর উওর যোগেন্দ্রনগর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে। অভিযোগ স্কুলে মাত্র তিন জন শিক্ষক দিয়ে চলছে পঠন পাঠন। এবং যে তিনজন শিক্ষক রয়েছেন তারা স্কুলে সঠিকভাবে আসেন না। স্কুলে রয়েছে ৭২ জন ছাত্রছাত্রী। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে শিক্ষক স্বল্পতা এবং পঠনপাঠন লাটে উঠে আছে।
বিষয়টি স্কুল পরিচালন কমিটির পক্ষ থেকে শিক্ষা দপ্তরকে বহুবার অবগত করা হলেও কোন হেলদুল নেই। এবং স্কুলের শিক্ষকদের বিভিন্ন সরকারি কাজে পাঠানো হচ্ছে। যার দরুন শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে আসতে পারছেন না বলে অভিযোগ স্কুল পরিচালন কমিটির এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো এদিন সকাল সাড়ে আটটা বেজে গেলেও কোন শিক্ষকের দেখা পায় নি ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের। স্কুলের এ ধরনের পঠন-পাঠনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ অভিভাবকরা। স্কুল পরিচালন কমিটি পক্ষ থেকে পরবর্তী সময় শিক্ষকদের ফোন করা হলে এক শিক্ষক আসেন। তিনি জানান স্কুলে শিক্ষক স্বল্পতা থাকার পরেও ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত ক্লাস করানো যায়, কিন্তু বিভিন্ন সরকারি কাজের কারণে শিক্ষকরা স্কুলে আসতে পারেন না। এমনকি ভোটার কার্ডের সাথে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন স্কুলের এক শিক্ষক। ফলে সেই শিক্ষক আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত ব্যস্ত থাকবেন। অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার জানতে শুধু নাম ডাকা হয়।
এ ছাড়া আর কোন কিছুই হচ্ছে না স্কুলে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো স্কুলে কোন শিক্ষিকা নেই। কিন্তু স্কুলে প্রচুর ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষা দপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রী এহেন ভূমিকায় অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। অভিভাবকদের আরো অভিযোগ স্কুলে মিড ডে মিল খাবার খাওয়ার অযোগ্য। ছাত্র-ছাত্রীরা খাবার ফেলে দেয়। স্কুলে এ ধরনের পঠন-পাঠনের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করাতে চাইছে না এলাকার মানুষ। কবে স্কুলের হাল ফিরবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে অভিভাবক মহল। সুতরাং বলা যায় শিক্ষামন্ত্রী যতই ঢাকঢোল বাজিয়ে গুণগত শিক্ষার প্রচার করার চেষ্টা করুক না কেন, বাস্তবের সাথে সবটাই অমিল।